শিল্পের প্রসার ও বিকাশে প্রয়োজন ইতিবাচক   মানসিকতা ও সঠিক পরিকল্পনা : মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, বামুটিয়া, ২৪ ফেব্রুয়ারী।। দৃঢ মানসিকাতার পাশাপাশি সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমেই একটি সরকার তার নিজ লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে৷ সেই দিশা নিয়েই বর্তমান রাজ্য সরকার এগিয়ে চলেছে৷

আজ বামুটিয়ায় গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার্স ইউনিয়ন লিমিটেডের উদ্যোগে এবং প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের সহযোগিতায় দুগ্দ শিল্পের বিকাশে দৈনিক ৪০ হাজার লিটার উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক ডেয়ারী প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ ডেয়ারী প্ল্যান্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে তিনি বলেন, এই শিল্প ইউনিট স্থাপনের ফলে বামুটিয়া অঞ্চলের মানুষ উপকৃত হবেন৷

শিল্পের প্রসার ও বিকাশে প্রয়োজন ইতিবাচক মানসিকতা ও সঠিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের সময়কালে কর্মসংস্ক’তি ফিরে আসার ফলে উন্নয়ন কর্মসূচি রূপায়ণে গতি এসেছে৷ রাজ্য সরকার প্রাথমিক ক্ষেত্রের উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে৷ রাজ্যে ক্ষুদ্র ও ছোট শিল্প স্থাপনে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে৷

শিল্পের প্রসারেই স্বল্প সময়ে রোজগারের সুুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিকাশ তরান্বিত হতে পারে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠার পূর্বে রাজ্যের প্রাথমিক ক্ষেত্রে বৃদ্ধির হার ছিল ৬.২ শতাংশ৷ বর্তমান সরকারের সময়কালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৩.৭৭ শতাংশ৷

মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন আগামীদিনে বামুটিয়া ডেয়ারী শিল্পের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে৷ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসারে ’ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রায় ১৩৫টি পরিষেবাকে অনলাইনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷

ইপিডিএস সিস্টেম চালু আছে রাজ্যে৷ বর্তমান সরকার সাবমকে ইণ্ডাস্টিয়্যাল জোন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করে চলেছে৷ রাজ্যে শিল্পের বিকাশে সাবমে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, সুুসংগত স্থলবন্দর, লজিস্টিক হাব গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷

তিনি বলেন, সাবম আগামীদিনে শুধু ত্রিপুরা রাজ্যে নয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে৷ মৈত্রী সেতুর মাধ্যমে চিটাগাং বন্দরের সাথে বৈদেশিক বাণিজ্যের সম্পসারণ ঘটবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের উন্নয়ন কর্মসূচির সুুফল অন্তিম মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে৷

অনুষ্ঠানে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সান্তনা চাকমা বলেন, সরকার রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশকে তরান্বিত করতে প্রাণী পালনের মাধ্যমে মানুষকে আত্মনির্ভর করে তোলার উপর গুরুত্ব দিয়েছে৷ রাজ্যে দুগ্দ উৎপাদন বাড়াতে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়িত হচ্ছে৷

তাছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক কৃষ্ণধন দাস, গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রডিউসার্স ইউনিয়ন লিমিটেডের চেয়ারম্যান সমীর দাস৷ স্বাগত বক্তব্য রাখেন গোমতী কো-অপারেটিভ মিল্ক প্রোডিউসার্স ইউনিয়ন লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অলক রঞ্জন রায়৷

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?