স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৩ ফেব্রুয়ারী।। আমাদের ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা এই ভাবনায় আগামী ২৬ ফেবয়ারি থেকে হাঁপানিয়া আন্তর্জাতিক মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হতে চলছে ৩৯ তম আগরতলা বইমেলা৷
চলবে ১১ মার্চ পর্যন্ত৷ আজ আগরতলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস একথা জানান৷
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বইমেলার সাংস্ক’তিক উপকমিটির যুগ্ম সম্পাদক সুুবত চক্রবর্তী, মিডিয়া উপকমিটির সম্পাদক সঞ্জয় পাল, দপ্তরের সহধিকর্তা দেবাশিষ নাথ৷ সাংবাদিক সম্মেলনে অধিকর্তা শ্রীবিশ্বাস বলেন, ৩৯ তম আগরতলা বইমেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷
মেলা প্রতিদিন বেলা ২.৩০টা থেকে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত চলবে৷ ছুটির দিনগুলোতে মেলা চলবে বেলা ২টা মিনিট থেকে রাত্রি ৯টা ৩০ পর্যন্ত৷
অধিকর্তা শ্রীবিশ্বাস জানান এবছর আগরতলা বইমেলায় মোট স্টল থাকবে ১৬২টি৷ এরমধ্যে বহির্রাজ্যের স্টল সংখ্যা ৬৬টি৷ বাংলাদেশের স্টল রয়েছে ১টি৷
এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তর, থিম প্যাভিলিয়ন, বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন, মিডিয়া সেন্টার, স্বাস্থ্য ও পর্যটন দপ্তরের স্টল থাকবে মেলা প্রাঙ্গণে৷ এবারের বইমেলাতে পুস্তক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি এবং স্টল ভাড়া নেওয়া হবে না৷ মেলার ১৪ দিনই দুপুর ১.৩০ থেকে ৯.৩০ পর্যন্ত বিনামূল্যে শহরের বিভিন্ন স্টপেজ থেকে সরকারিভাবে ১০টি বাস পরিষেবা থাকবে৷
সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বইমেলা উপলক্ষ্যে ক্রেতা, বিক্রেতা সকলকে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি প্রত্যেকটি বইয়ের স্টলে মাস্ক ও স্যানিটাইজার রাখার অনুরোধ জানান৷
সাংবাদিক সম্মেলনে সাংস্কৃতিক উপ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সুুবত চক্রবর্তী বলেন, বইমেলার মূল ভাবনায় মেলা প্রাঙ্গণকে সাজিয়ে তোলার সার্বিক প্রয়াস করা হচ্ছে৷
মেলার সাংস্কৃতিক মঞ্চে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সবকয়টি রাজ্য সহ সিকিম, পশ্চিমবঙ্গ, পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিল্পীরা এবারের বইমেলায় অংশগ্রহণ করবেন৷ ফলে বইমেলা হয়ে উঠবে সত্যিকারের মিলনমেলা ও সাংস্কৃতিক আদান প্রদানের কেন্দ্র৷
তিনি আরও বলেন, বইমেলার সাংস্কৃতিক উপস্থাপনের পাশাপাশি থাকবে বাউল, ব্যাণ্ড, জনজাতি, উদীয়মান শিল্পীদের উপস্থাপনা৷