সিবিআই জানায়, কীভাবে অর্থ কাঙ্খিত গন্তব্যে স্থানান্তর করা হবে এবং অর্থের পরিমাণ সংশ্লিষ্ট ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত ও আস্থাভাজন গন্তব্য নিয়ে জরুরি চুক্তি সম্পন্ন হয় ওই বৈঠকে।তবে কী পরিমাণ অর্থ ফেরত আনতে দক্ষিণ কোরিয়া সুযোগ দিচ্ছে সে সম্পর্কে বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি।রবিবার এক সাক্ষাতকারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ জানান, দক্ষিণ কোরিয়ায় ইরানের ১০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি অর্থ সঞ্চিত আছে।
সিবিআইর বরাতে জানা যাচ্ছে, নিষেধাজ্ঞায় আটকে পড়া সম্পদ ফিরে পেতে ইরানকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে উত্তর কোরিয়া এমনটা বলেছেন তেহরানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত।চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে পরিবেশ দূষণের অভিযোগে দক্ষিণ কোরীয় একটি জাহাজ আটক করে ইরান। আটকে থাকা অর্থ ফেরত পেতে তেহরান এমনটি করেছে বলে অভিযোগ উঠলেও তা অস্বীকার করা হয়।এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হলে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি প্রতিনিধি দল তেহরান সফর করে। জাহাজ মুক্তি ও আটকে পড়া অর্থ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়।
উভয় দেশ কোনো চুক্তিতে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছে মনে করা হলেও উত্তর কোরিয়ার জাহাজটির ক্রুদের মুক্তি দেয় ইরান। ২০১৮ সালে সেসময়কার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। একতরফাভাবে ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসেন তিনি। এরপরে তেহরানের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেন ট্রাম্প। এদিকে ওয়াশিংটনে নতুন ক্ষমতায় আসা জো বাইডেন ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে আবার ফিরছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সপ্তাহের শুরুতে ইরানি কূটনীতিকদের ওপর ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছেন।