অনলাইন ডেস্ক, ২১ ফেব্রুয়ারী।।মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভকালে গুলিতে দুজনের প্রাণহানির ঘটনায় জাতিসংঘ নতুন করে দেশটির সামরিক জান্তার নিন্দা জানিয়েছে।
এদিকে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভের প্রথম বলি এক তরুণীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় প্রস্তুতি নিয়েছে শোকার্ত লোকজন।
বাসস জানায়, গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির মুক্তির দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তাদের কৌশল আরও বিস্তৃত করছে।
গত দুই সপ্তাহ ধরে দেশটিতে যে বিক্ষোভ চলছে তা মারাত্মক রূপ নেয় শনিবার।ওই দিন মান্দালয়ে নিরাপত্তা বাহিনী শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর গুলি চালায়।
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রবিবার মারাত্মক এ সহিসংতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগ, দমন ও নিপীড়ন অগ্রহণযোগ্য।
দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী ও সাংস্কৃতিক রাজধানী মান্দালয়ে একটি শিপইয়ার্ডে অভিযান চালিয়ে বন্দর শ্রমিকদের আটককালে উভয়পক্ষে সংঘর্ষ বাঁধে।
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, সৈন্যরা তাজা গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করে।মান্দালয়ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী জরুরি উদ্ধারকারী দলের প্রধান হালিয়াং মিন ও দুজনের প্রাণহানির কথা জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক জরুরি উদ্ধারকর্মী প্রাণহানির এ খবর নিশ্চিত করেছেন।হালিয়াং মিন ও সহিংসতায় আরও ৩০ জনের আহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে আটক করে।
গত নভেম্বরের নির্বাচনে অং সান সুচির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। যদিও দাবির সপক্ষে তথ্য-প্রমাণ দিতে পারেনি তারা।
ওই দিন নবনির্বাচিত সংসদের প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। বৈঠক শুরুর প্রাক্কালে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।