স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২১ ফেব্রুয়ারী।। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে অনুষ্ঠান ও স্মৃতি স্মারকে শ্রদ্ধা নিবেদন হয়। ভাষা শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, রাজস্ব মন্ত্রী সহ অন্যান্যরা।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, বিরাট এই ভারতবর্ষে যেমন অসংখ্য ভাষার বৈচিত্র্য রয়েছে তেমন আমাদের ত্রিপুরাতেও অনেক ভাষার প্রচলন রয়েছে। প্রত্যেকটি ভাষাই আমাদের সংস্কৃতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ।
প্রসঙ্গত, আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। শোকাবহ, গৌরবোজ্জ্বল, অহঙ্কারে মহিমান্বিত। রক্ত দিয়ে বাংলা ভাষার মর্যাদা চির-উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে পৃথিবীর অনন্য এই ইতিহাসের আজ আরও একটি বছর পূর্তি।
মাতৃভাষা রক্ষায় বুকের রক্ত ঢালার দিন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসও আজ। সাহস, প্রত্যয় আর উদ্দীপনায় সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে আজ সামনে এগিয়ে যাওয়ার দিন। আজ ভোরের আকাশ-বাতাস বিষণ্ন করে কোটি কণ্ঠে বেজে উঠবে—‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি…’।
মায়ের ভাষায় কথা বলার দাবি নিয়ে সেদিনের আজকের দিনে মিছিলে শহীদ হয়ে ছিল বাংলাদেশের দামাল ছেলে রফিক উদ্দিন আহমেদ, শফিক, আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সালাম।
আজ থেকে ষাট বছর আগে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকার রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয়। এক একটি বাংলা অক্ষর সেদিন যেন পরিণত হয় এক একটি জীবনে। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায়।
মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ’৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ ও শাসকগোষ্ঠির প্রভুসুলভ মনোভাবের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং ভাষার ভিত্তিতে বাঙালির জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ।
যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, যত দিন বাংলা ভাষা থাকবে তত দিন আমার ভাইয়ের মুখে, আমার বোনের কণ্ঠে উচ্চারিত হবে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি…’।