স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৯ ফেব্রুয়ারী।। আবারো করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে রাজ্যে৷ ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪৮ ঘণ্টায় ২৬ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানালেন হাসপাতাল এমএস ডাঃ এ দত্ত৷ তিনি জানিয়েছেন, হাসপাতালের একজন রোগী ও ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ তাদেরকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে৷ জেলাশাসক সহ স্বাস্থ্য দফতরের পদস্থ আধিকারিকরা হাসপাতাল পরিদর্শনের পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছেন৷
একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, শুক্রবার দিনভর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে৷ ডাঃ এ দত্ত জানিয়েছেন, ২৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে ১৪ জন কোভিড-১৯ টিকাকরণের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছে৷ তবে ডাক্তার দত্তের দাবি, প্রথম ডোজ গ্রহণের পর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে৷ তবে এ ক্ষেত্রে তিনি বিশেষ নজরদারির কথাও বলেছেন৷ ডাঃ দত্ত জানিয়েছেন, হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ এদিকে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক ডাঃ শৈলেশ কুমার যাদব এক নির্দেশে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের ৭২ ঘণ্টার জন্য ওপিডি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন৷
একই সাথে প্রসূতি বিভাগও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ এই বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফেও জানানো হয়েছে৷ তবে এই সময়ের মধ্যে করোনার প্রাদুর্ভাবের খবর ছড়িয়ে পড়তে বিভিন্ন মহলে আতঙ্ক দেখা দেয়৷ স্বাস্থ্য দফতরের সান্ধ্যকালীন বুলেটিনে বলা হয়েছে, এদিন ৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ ভিন্নদিকে আরটিপিসিআর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজের স্বাস্থ্য কর্মী সহ সংশ্লিষ্টদের৷ হাসপাতালের এমএস ডাঃ এ দত্ত জানিয়েছেন, যাদের করোনা টেষ্ট করার পর পজিটিভ ধরা পড়েছে ওইসব কর্মীদের সংস্পর্শে আসা সকলকেই টেষ্ট করানো হবে৷ তিনি এও জানান, হাসপাতালকে স্যানিটাইজ করা হয়েছে৷ ডাঃ দত্ত দাবি করেন, যাদের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে তাদের কারোরই উপসর্গ ছিলো না৷ একজন রোগীর করোনা পরীক্ষাকালে পজিটিভ ধরা পড়ার পর আরো বেশ কয়েকজনের কোভিড টেষ্ট করানো হয়েছে৷
সেই সময় বিষয়টি ধরা পড়ে৷ তবে এই সময়ের মধ্যে গোটা বিষয়টি নিয়ে তীব্র আতঙ্ক দেখা দিয়েছে সাধারণের মধ্যে৷ কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বারবার সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে ও অন্যকে সচেতন করতে আহ্বান রাখা হচ্ছে৷ বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ স্বাস্থ্য বিধি মানার আহ্বান রাখা হচ্ছে৷ এই সময়ের মধ্যে একজন রাজনৈতিক দলের নেতাও করোনা পজিটিভ বলে অসমর্থিত সূত্র দাবি করেছে৷