তিন দিন আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ফিলিপ সেবছর বাংলাদেশি তরুণদের একটি ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে ১৪ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি কিশোরকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘এখানে কে ড্রাগ নিয়েছে? ওকে দেখে মনে হচ্ছে ড্রাগ নিয়েছে!’ বাংলাদেশিকে উদ্দেশ্য করে ফিলিপের এই মন্তব্যের কথা দুটি সূত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের পাসনোট কলামে ২০১১ সালে তথ্যটি উল্লেখ করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিউজ.কম.এইউ তাদের প্রতিবেদনেও এটি উল্লেখ করেছে।
১৯৫২ সালে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহণের পর ২০১৭ সাল পর্যন্ত নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা প্রিন্স ফিলিপ ২২ হাজার ২১৯টি একক সরকারি কর্মসূচিতে অংশ নেন। রয়্যাল মেরিনসহ ৭৮০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক, প্রেসিডেন্ট অথবা সদস্য প্রিন্স ফিলিপ ৬৩৭ বার বিদেশ সফর করেছেন এবং প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বক্তব্য দিয়েছেন। প্রিন্স ফিলিপের আরও কিছু বিতর্কিত বক্তব্য: ১৯৮৬ সালে চীন সফরের সময় সেখানে একদল ব্রিটিশ ছাত্রদের বলেন, ‘এ দেশে বেশি দিন থাকলে তোমাদের চোখ কিন্তু সরু হয়ে যাবে!’
১৯৯৪ সালে কেইম্যান দ্বীপ সফরের সময় স্থানীয় এক সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিকে এভাবে প্রশ্ন করেন, ‘আপনাদের অধিকাংশই তো জলদস্যুদের বংশধর, তাই না?’ একবার এক নারী পুলিশকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘তোমাকে আত্মঘাতী বোমা বহনকারীর মতো লাগছে।’ ২০০৯ সালে ব্রিটেন, চীন এবং রাশিয়ার নেতাদের বিষয়ে বারাক ওবামার কাছে প্রশ্ন করেন, ‘তাদের মধ্যে কি কোনো পার্থক্য আছে?’এখন যেমন আছেন ফিলিপ: রয়্যাল প্যালেস থেকে জানানো হয়েছে তাকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
তার সমস্যা করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নয় বলে নিশ্চিত করা হয়েছে প্যালেস থেকে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে যাওয়ার পর ডাক্তারের পরামর্শে ভর্তি হন তিনি। গত বিবাহবার্ষিকীতে ধূমপান ছেড়েছেন। এখন আর আগের মতো মদপানও করেন না।