বুধবার রাতে সর্বশেষ তথ্যে সংস্থাটি জানায়, বিক্ষোভে যোগ দেওয়া ও জড়িত থাকায় ৪৯৫ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে বা সাজা দেওয়া হয়েছে। তিন ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে দুই বছর এবং এক ব্যক্তিকে তিন মাসের জেল দেওয়া হয়েছে। ৪৬০ জনের মতো ব্যক্তিকে আটক করে রাখা হয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় ৮ জন সরকারি কর্মীকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে, মান্দালয় রাজ্যের পরিবেশমন্ত্রী। মান্দালয় ও রাখাইন রাজ্য থেকে আরও বেশ কয়েকজনকে বন্দুকের মুখে তুলে নিয়ে যায় সেনাসদস্যরা।
সরকারি কর্মচারীদের বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের দুই বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। দ্য ডিফেন্ড লয়ার্সের ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে, বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় অন্তত ৪০ জন ব্যারিস্টারকে বিচারের মুখোমুখি করছে সামরিক সরকার। বুধবার ইয়াঙ্গুনে রাস্তা দখলে নেওয়া বিক্ষোভকারীদের ছবি ও ভিডিও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার টানা ১৩ দিনের মতো দেশটি জুড়ে বিক্ষোভ হয়। রাজধানী নেইপিডোতে প্রকৌশলীদের একটি দল মোটরসাইকেলে চড়ে বিক্ষোভে যোগ দেয়। গণতন্ত্রপন্থী অং সান সু চির মুক্তির দাবি জানায় তারা।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ইয়াঙ্গুনে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের পোশাক পরা কিছু ব্যক্তি বিক্ষোভকারীদের বাধা দিচ্ছে। প্রতিবাদকারীদের গাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা গেছে লাঠি হাতে তাদের। ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী সু চি ও দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন দল এনএলডির শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করা হয়। এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে রাষ্ট্রের সব ধরনের ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নেন সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং।