প্রতিদিনের মতো বুধবারও সেখানে ক্লাস শুরু হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, স্কুলের পেছনের জঙ্গল এলাকা দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে আততায়ীরা। তাদের হাতে আধুনিক অস্ত্র ছিল। স্কুলের ছাত্র, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের তারা পেছনের ঝোপে নিয়ে যায়। অপহরণের সময় ছাত্ররা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তারই জেরে অন্তত একজন ছাত্রের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
অপহৃতদের মধ্যে ২৬ জন ছাত্র রয়েছে। বাকি সবাই শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। ঘটনার পরেই এলাকার সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা স্কুলের সামনে জড়ো হন। দেশটির প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, পুলিশ এবং নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত অপহৃতদের খুঁজে বের করবে। সকলে যাতে সুস্থ ভাবে ফিরতে পারেন, সে দিকে নজর দেওয়া হবে।
যত দ্রুত সম্ভব এ কাজ করা হবে। গত কয়েক বছর ধরে নাইজেরিয়ায় স্কুলছাত্রদের অপহরণের বিষয়টি চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। এর আগেও একাধিকবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন ঘটনা ঘটেছে। সাধারণত, ছাত্রদের অপর হরণ করে বড়সড় মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। সাধারণ গ্যাং ছাড়াও বোকো হারামের মতো গোষ্ঠী এই ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকে। বোকো হারামের মতো গোষ্ঠীগুলো এ ধরনের কাজ করলে মুক্তিপণ দাবি করা হয় না।
অতীতে তেমন ঘটনাও ঘটেছে। এবারের ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মুক্তিপণ দাবি করেনি অপহরণকারীরা। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, অপহরণকারীরা সাধারণ গ্যাংয়ের সদস্য বলেই তাদের মনে হয়েছে।নাইজেরিয়ার অধিকাংশ স্কুলে সামনে গার্ড ওয়াল থাকলেও পেছনে থাকে না। পেছনে ঝোপ থাকে। তারই সুযোগ নেয় অপহরণকারীরা। ঝোপে লুকিয়ে থেকে সুযোগ মতো তারা স্কুলে হামলা চালায়।