গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী সু চি ও দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ ক্ষমতাসীন দল এনএলডির শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করা হয়। এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে রাষ্ট্রের সব ধরনের ক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নেন সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং। এরপর থেকে রাস্তায় নেমে আসে মিয়ানমারের মানুষ। রাজধানী নেইপিডো, ইয়াঙ্গুনসহ বড় শহরগুলোতে বিক্ষোভ হয়। জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলেও মানুষ তা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করে।
পুলিশ তাদের ওপর জলকামান, রাবার বুলেট ও গুলি চালালে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে উঠে। এরপর সোমবার বিবৃতি দিয়ে সেনাবাহিনী জানায়, বিক্ষোভে নামলে বিশ বছর পর্যন্ত জেল-জরিমানা দেওয়া হবে। সেই হুমকিও উপেক্ষা করে বুধবার ইয়াঙ্গুনের রাস্তা দখলে নেয় জনতা। পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী নেটব্লকস জানাচ্ছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত টানা তিনদিন ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে বুধবার সকালে আবার নেটওয়ার্ক চালু করা হয়।
যার ফলে বিক্ষোভ ও মিছিলের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।ছাত্র, শিক্ষক, প্রকৌশলীসহ সরকারের কর্মচারীরা জাতিসংঘ অফিসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় জমায়েত করেছে। সু চির ছবিযুক্ত ব্যানার প্রদর্শন করে তার মুক্তির দাবি করে এবং সামরিক শাসনের অবসান চান তারা। একাধিক টুইটে দেখা যাচ্ছে, এলোমেলোভাবে গাড়ি রেখে রাস্তা আটকে দিয়েছে মানুষ। পুলিশ জিজ্ঞাসা করলে তাদের জানানো হচ্ছে, গাড়ির জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে বা ইঞ্জিনে সমস্যা। রাস্তা, সেতু ও অলিগলিতে শত শত গাড়ি ফেলে রাখা হয়েছে।
এদিকে মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক রেপোর্টার টম অ্যান্ড্রুজ জানিয়েছিলেন, সহিংসতা বাড়ার আশঙ্কায় তিনি আতঙ্কিত। দেশজুড়ে সেনা মোতায়েনের সংবাদ পেয়েছেন তিনি। ফলে বিক্ষোভকারীরা বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন। এক বিবৃতিতে অ্যান্ড্রুজ বলেন, বুধবার মিয়ানমারে বড় আকারে সহিংসতা ঘটতে পারে বলে আমি আশঙ্কা করছি।