অনলাইন ডেস্ক, ১৬ ফেব্রুয়ারী।।হৃদরোগের সমস্যাকে দূরে সরিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করে দিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে আমদাবাদের নতুন মোতেরা স্টেডিয়ামে শুরু হবে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের গোলাপি বলের টেস্ট।
সেই ম্যাচ দেখতে যাচ্ছেন বিসিসিআই সভাপতি। দ্বিতীয় টেস্টের সময় দীর্ঘ দিনের সতীর্থ আশিস নেহরার সঙ্গে দিন-রাতের টেস্ট, আসন্ন আইপিএল, আইএসএলের ফিরতি ডার্বি যুদ্ধ, নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলেন তিনি।
সুস্থতা নিয়ে সৌরভ বলেন, “আমি দারুণ আছি। দিব্যি আছি। আগের মত একদম ফিট। কোনও সমস্যা নেই। তবে প্রথমদিকে আমিও কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।
যদিও বাইরের লোকজন ব্যাপারটা নিয়ে যতটা আলোচনা করছিল, তেমন ভয়ের কিছুই হয়নি। পরের দিকে আমার আর কোনও সমস্যা হয়নি। ইদানিং আমি আবার আগের মত কাজকর্ম করছি। বাড়ির সামনেই অফিস। সেখানেও যাচ্ছি।”
আমেদাবাদের মোতেরায় শুরু হচ্ছে দিনরাতের গোলাপি বলে টেস্ট। তা নিয়ে সৌরভের অভিমত, “দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচের সব টিকিট ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে।
তবে স্টেডিয়ামে বসার ব্যবস্থা ১ লাখ ১০ হাজার হলেও কোভিডের জন্য শুধু ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। একে তো ওখানে অনেক বছর পর টেস্ট ম্যাচ হচ্ছে, এর মধ্যে আবার গোলাপি বলের খেলা। তাই সবার উন্মাদনা তুঙ্গে। শুধু ক্রিকেট নয়, আমরা সবাই আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরছি। এটাই বেশি আন্দদের। সকালে জয় শাহের সঙ্গে কথা হল। খুবই উত্তেজিত।
আসলে ওর জন্যই কিন্তু আমদাবাদে প্রায় পাঁচ-ছয় বছর পর ক্রিকেট ফিরল। আশা করি ওখানে গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচের সঙ্গে গুজরাত ক্রিকেট সংস্থা আরও কিছু বিনোদনের ব্যবস্থা করবে, যাতে মাঠে আসা দর্শকদের বাড়তি আনন্দ দেওয়া যায়। ভারতে প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট আমার প্রিয় ইডেনে আয়োজিত হয়েছিল।
সেবারের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ এবারের ইংল্যান্ডের তুলনায় দুর্বল হলেও আমরা ম্যাচ্বের বাইরেও অনেক কর্মসূচি নিয়েছিলাম। আমার ধারণা জয় শাহ তেমনই কিছু অনুষ্ঠান আয়োজন করবে, যাতে সেই ঐতিহাসিক টেস্ট আরও জমকালো হয়ে ওঠে।”
সঙ্গে যোগ করেন, “টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে দিন-রাতের টেস্ট ও সঙ্গে দর্শকদের জন্য বিনোদন। এটাই হল টেস্ট ম্যাচ বাঁচানোর একমাত্র রাস্তা। সেটা ভারতীয় দলও বুঝতে পেরেছে। তাই এবার থেকে দেশে কিংবা বিদেশে আমাদের দল খেলতে গেলেই প্রতি সিরিজে একটা করে গোলাপি বলের টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করা হবে।”