অনলাইন ডেস্ক, ১৬ ফেব্রুয়ারী।। দু’জনে একদা একই দলে ছিলেন। দলের নাম তৃণমূল। এখন একই দলে না থাকলেও পেশাগত ভাবে রয়েছেন একই ইন্ডাস্ট্রিতে। পর্দায় এক সঙ্গে দেখাও গিয়েছে দু’জনকে। বন্ধুত্বও অনেক দিনের। তাতে চোনা ফেলল রাজনীতি। ধীরে ধীরে সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করল। অতঃপর বিস্ফোরণ! রুদ্রনীল ঘোষ বিজেপি-তে গিয়ে টলিউডে মাফিয়ারাজের অভিযোগ তুললেন। আর সোহম সরাসরি বললেন, রুদ্রনীলকে এবার ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিষিদ্ধ করা উচিত!
গত বৃহস্পতিবার বিজেপি-র দলীয় কার্যালয়ে রুদ্রনীল সরাসরি অভিযোগ করেন, ‘‘যত কলাকুশলী দরকার, তার চেয়ে দ্বিগুণ লোক নিতে বলা হচ্ছে। প্রযোজকদের গলায় বন্দুক ঠেকিয়ে এই নিয়ম মানতে বাধ্য করা হচ্ছে। অতিরিক্ত লোকজন বসে বসে টাকা নিচ্ছে।’’ তাঁর দাবি ছিল, টলিউডে ‘মাফিয়ারাজ’ চলছে। কিন্তু তাঁরই ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মী সোহম আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানিয়েছেন, তিনি রুদ্রনীলের ওই কথা মানছেন না। সোহমের দাবি, ‘‘আমি চাই এই মন্তব্যের জন্য রুদ্রনীলকে এই ইন্ডাস্ট্রিতে নিষিদ্ধ করা হোক!’’
রুদ্রনীল আবার এখন যত অভিনেতা, তার চেয়ে বেশি নেতা। তাঁর প্রসঙ্গে সোহমের বক্তব্য, ‘‘রুদ্রনীল যে ওই কথাটা বললেন, তিনি কি ভুলে গিয়েছেন, যে করোনার সময়ে কত কত মানুষ খেতে পাননি? একটা গোটা ইন্ডাস্ট্রির মুখ চেয়ে বসেছিলেন কত লক্ষ মানুষ! তাঁদের কর্মসংস্থানের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। যাতে মানুষ কিছু রোজগার করতে পারে। আমি, রুদ্রনীল— আমরা তো একটা করে ভ্যানিটি ভ্যান পাই। কিন্তু ওই মানুষগুলো? তাঁদের মুখ থেকে সেটুকু অন্নও কেড়ে নিতে চান রুদ্রনীল? এ ভাবে আসলে তাঁদেরই অপমান করা হচ্ছে।’’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন যুব তৃণমূলের পদাধিকারী সোহম বলছেন, ‘‘রুদ্রনীলকে তো মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘মামনি’ বলে ডাকতে শুনেছি আমি। যেই বিজেপি-তে গেলেন, অমনি মায়ের নামে খারাপ কথা বলতে শুরু করলেন? আমি তো স্বপ্নেও ভাবতে পারি না! বসে বসে মাসে ৩ লক্ষ টাকা পেয়ে তা হলে কী করলেন রুদ্রনীল?’’