সভায় মুখ্যমন্ত্রী বোর্ডের অধীনে যে নির্মাণ কাজ চলছে তার গুণগতমান বজায় রেখে অতি দ্রততার সাথে সেসব কাজ সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন৷ তিনি বলেন, নির্মাণ কাজে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে কম সময়ে কাজ শেষ করা যায়৷ এতে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক ফল পাওয়া যায়৷ বহুতল বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রাক’তিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার দিকে নজর রাখার উপরও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেন৷
মুখ্যমন্ত্রী বহুতল বাড়ি নির্মাণের উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন৷ তিনি বলেন, এরফলে জায়গা বাঁচানোর সাথে সাথে নির্মাণ কাজের ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে সাশ্রয় হয়৷ আজকের সভায় ত্রিপুরা হাউজিং অ্যাণ্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান তথা পূর্ত দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে বোর্ডের সর্বশেষ সভায় গৃহীত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের নিরিখে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা সচিত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন৷
তিনি জানান আগরতলায় নিউ ক্যাপিটেল কমপ্লেক্স এলাকায় নির্মিত মালিকানাভিত্তিক সমস্ত ফ্ল্যাট অংশীদারদের দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে৷ এছাড়াও নিউ ক্যাপিটেল কমপ্লেক্সের শ্যামলিমা অ্যাপার্টমেন্টে ২৪টি নতুন গ্যারাজ নির্মাণ করা হয়েছে৷ গ্যারাজগুলি ফ্ল্যাট মালিকদের মধ্যে বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান৷ এছাড়া ২০১৮-১৯ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের ত্রিপুরা হাউজিং অ্যাণ্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের বার্ষিক হিসেব নিকেশ নিয়েও তিনি আলোচনা করেন৷
তিনি বোর্ডের পুনর্গঠন এবং শক্তিশালী করার বিষয়েও আলোচনা করেন৷ তিনি বলেন, গোর্খাবস্তি এলাকায় ১৬ তলা বিশিষ্ট বহুতল বিল্ডিংয়ের কাজ দ্রততার সঙ্গে শেষ করার জন্য বোর্ড প্রয়াস চালাচ্ছে৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরা হাউজিং অ্যাণ্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের দ্বারা চলতি নির্মাণ কাজগুলি সঠিক সময়ে রূপায়ণ করার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের সাথে বোর্ড সমন্বয় রক্ষা করে চলছে৷
মসভায় মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব জে কে সিনহা পূর্ত দপ্তরের (সড়ক ও সেতু) চিফ ইঞ্জিনিয়ার দীপক চন্দ্র দাস, পূর্ত দপ্তরের (বিল্ডিং) চিফ ইি’নিয়ার স’য়িতা দাস, ত্রিপুরা হাউজিং অ্যাণ্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক ইঞ্জিনিয়ার এস কে দেবনাথ সহ ত্রিপুরা হাউজিং অ্যাণ্ড কনস্ট্রাকশন বোর্ডের অন্যান্য সদস্যগণ বৈঠকে উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন৷