অনলাইন ডেস্ক, ১৬ ফেব্রুয়ারী।। তুরস্কে আটক হওয়া এক নারী আইএস সদস্যের নাগরিকত্ব বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়া। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে দুই দেশ।ডয়চে ভেলে জানায়, নারী আইএস কর্মী অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড দুই দেশেরই নাগরিক ছিলেন। কিন্তু তুরস্কে তিনি ধরা পড়ার পর অস্ট্রেলিয়া দ্রুত তার নাগরিকত্ব খারিজ করে দেয়।
এ ঘটনায় বেজায় চটেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন। তার ভাষ্য, অস্ট্রেলিয়া এভাবে একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না এবং দায় এড়াতে পারে না। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার দাবি, তারা নিয়ম মাফিক কাজ করেছে মাত্র।
নিয়মানুযায়ী, ওই নারী আইএস কর্মী যে দেশের নাগরিক সে দেশের কাছেই পাঠিয়ে দেবে তুরস্ক। দুই দেশের নাগরিকত্ব থাকা এবং এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়া তার নাগরিকত্ব বাতিল করায় তৈরি হয়েছে নতুন পরিস্থিতি।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ছয় বছর পর্যন্ত ওই নারী তার দেশে ছিলেন। তারপর চলে যান অস্ট্রেলিয়ায়। তার পরিবারও সেখানে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্ট নিয়ে ওখান থেকেই তিনি সিরিয়া যান এবং জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট-আইএসে যোগ দেন।
জাসিন্ডার মতে, এই অবস্থায় নিউজিল্যান্ডকে তার দায় নিতে গেলে সেটা ঠিক হবে না। তিনি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে তার ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।
জাসিন্ডার মন্তব্য নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মরিসন বলেছেন, অটোমেটিক্যালি ওই নারীর নাগরিকত্ব খারিজ হয়ে গেছে। আর তার দায়িত্ব হলো অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করা।
তিনি জানান, অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে আইন করা হয়েছে। সেই আইন অনুসারে এই ধরনের ঘটনা হলেই সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকত্ব খারিজ হয়ে যায়।
তুরস্কের কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছেন, তিনজন নারী আইএস কর্মী সিরিয়া থেকে বেআইনিভাবে তুরস্কে ঢুকতে চেয়েছিল। সীমান্তরক্ষীরা তাদের ধরেছে।পশ্চিমা দেশ থেকে আইএসে যোগ দেয়া হাজার হাজার মানুষ এখন সিরিয়া ও ইরাকের জেলে আছে। তাদের ফিরিয়ে নেয়া নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো দ্বিধায়। এখন এই আটক নারীর ক্ষেত্রেও অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে বিরোধ সামনে এসেছে।