উপমুখ্যমন্ত্রী বইমেলা পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যানও৷ সভায় ঠিক হয়েছে কাজের দিনগুলিতে বইমেলা দুপুর আড়াইটায় শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে৷ ছুটির দিনগুলিতে বইমেলা দুপুর দুটোয় শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলবে৷ আলোচনায় অংশ নিয়ে বইমেলা পরিচালন কমিটির চেয়ারম্যান তথা উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিটি বইমেলায় নতুনত্ব আনার চেষ্টা করছে৷
মেলায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যের শিল্পীগণ সাংস্ক’তিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন৷ সাংস্ক’তিক অনুষ্ঠানে জাতীয় স্তরের খ্যাতনামা শিল্পীগণও অংশ নেবেন৷ তিনি বলেন, আগরতলা বইমেলা শুধু বইয়ের মেলা নয়, সাংস্ক’তিক বিনিময়ের কেন্দ্র হয়ে উঠবে৷ আজ বইমেলা পরিচালন কমিটির পর্যালোচনা সভার সূচনা করেন তথ্য ও সংস্ক’তি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস৷ তিনি বইমেলার প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন৷
তিনি বলেন, এবার বইমেলার মূল ভাবনা ’আমাদের ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা’৷ এবার বইমেলায় অংশ নিতে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সহ বহির্রাজ্য এবং রাজ্যের প্রকাশক, পুস্তক বিক্রেতাগণ আবেদন করেছেন৷ এবার বইয়ের স্টলের সংখ্যা আরও বাড়বে৷ পুস্তক প্রেমীদের কথা চিন্তা করে গত বছরের মতো এবারও শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে বইমেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিনামূল্যে বাসের ব্যবস্থা করা হবে৷ শহরের বিভিন্ন জায়গায় বইমেলার মূল ভাবনাকে সামনে রেখে তোরণ তৈরি করা হবে৷
জনগণকে বইমেলামুখী করে তুলতে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে৷ পর্যালোচনা সভায় আলোচনায় অংশ নেন ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গঙ্গাপ্রসাদ প্রাসিন, রাজ্য উচ্চশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. অরুণোদয় সাহা, আগরতলা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক প্রণব সরকার, বিভিন্ন উপকমিটির কনভেনরগণ৷
আজ পর্যালোচনা সভায় পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা দেব সরকার, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব শরদিন্দ চৌধুরী, আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহকারি হাইকমিশনার মহম্মদ যুবায়েদ হোসেন সহ পরিচালন কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন৷ আজকের সভায় ৩৯তম আগরতলা বইমেলার চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে৷