উহানে ধারণার চেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছিল : ডব্লিউএইচও

অনলাইন ডেস্ক, ১৫ ফেব্রুয়ারী।। চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধারণার চেয়ে বেশি হারে ছড়িয়েছিল বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও। সংস্থাটির একটি তদন্ত দল চীন থেকে ফিরে এমন মন্তব্য করেছে।

তদন্তকারীদের উদ্ধৃত করে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন বলছে, তারা জরুরি ভিত্তিতে উহান শহরের লাখো মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখার সুযোগ চেয়েছেন। তবে চীন এখনো তাদের সে অনুমতি দেয়নি।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহানের একটি সি ফুড সেন্টারে প্রথম করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শনাক্ত হয়। এরপর সেটি দেশে দেশ ছড়িয়ে পড়ে।

গত বছরের শুরুতে মার্কেটটি বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে সেখানে সাধারণের প্রবেশাধিকারে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। নিরাপত্তা প্রহরীরা এখনো সারাক্ষণই মার্কেটটিকে ঘিরে রাখে। তদন্তকারীরা সম্প্রতি এই বাজার ঘুরে এসেছেন।

ডব্লিউএইচও মিশনের প্রধান তদন্তকারী পিটার বেন এমব্যারেক সিএনএনকে বলেছেন, ‘২০১৯ সালে উহানে করোনার সংক্রমণ ধারণার চেয়েও বেশি ব্যাপক ছিল।

এ বিষয়ে আমরা বেশ কিছু লক্ষণ খুঁজে পেয়েছি। লক্ষণগুলোর একটি হলো সেখানে ওই বছরের ডিসেম্বরেই এক ডজনের বেশি করোনার ধরনের (স্ট্রেইন) সংক্রমণ শুরু হয়। ’

তিনি বলেন, ‘চীনের কর্মকর্তাদের কথা অনুযায়ী দেশটিতে প্রথম যে ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পান তদন্তকারীরা।

চল্লিশোর্ধ্ব বয়সী এই ব্যক্তি ৮ ডিসেম্বর আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর আগে কাছাকাছি সময়ে তার বাইরে ভ্রমণ করার ইতিহাস ছিল না। ’

উহান সফরে তদন্তকারীরা এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য উদ্‌ঘাটন করতে পেরেছেন, তা করোনার উৎস শনাক্তে গবেষণা চালিয়ে যাওয়া অন্য বিজ্ঞানীদের ভাবনায় নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

এই বিজ্ঞানীরা বলেছেন, করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার ব্যাপারে মধ্য ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানা গেলেও প্রকৃতপক্ষে এ ভাইরাসের সংক্রমণ অনেক আগেই চীনে ছড়িয়ে থাকতে পারে।

তদন্তে চীন ‘পূর্ণ সহযোগিতার’ দাবি করলেও শুরুতে শনাক্ত হওয়া ১৭৪ জনের ডেটার বিস্তারিত তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দেয়নি। রোগটির গতি-প্রকৃতি বুঝতে এই ডেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

অস্ট্রেলিয়ার সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডোমিনিক ডোয়ার ছিলেন ওই দলে। চীন থেকে ফিরে তিনি এখন নিজের দেশে কোয়ারেন্টাইনে।

সেখান থেকে ভিডিও কলে রয়টার্স এবং নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ‘‘প্রথম যে ১৭৪ জন শনাক্ত হয়েছিলেন, তারা মূলত লাইন লিস্টিং। অর্থাৎ তাদের তথ্যকে আমর ‘র’ ডেটা বলছি। চীন শুধু সারাংশ দিয়েছে। বিস্তারিত ডেটা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ’’

‘‘কোনো প্রাদুর্ভাব বিষয়ে তদন্ত করতে গেলে ‘র’ ডেটা গুরুত্বপূর্ণ। ’’ ‘আমি জানি না, তারা কেন দেয়নি। রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে, অথবা অন্য কোনো কঠিন বিষয়। আমি জানি না। সবই অনুমান। ’

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?