২০১১-তে ফাস্ট্যাগ চালু হয়েছিল। ২০১৭-র পর সমস্ত যানেই ফাস্ট্যাগ বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। গাড়িতে ফাস্ট্যাগ না থাকলে চালক অথবা মালিককে টোল প্লাজা অতিক্রম করতে জরিমানা হিসেবে দ্বিগুণ টোল দিতে হবে।
সরকারের পরিকল্পনা, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০০ শতাংশ টোল ফাস্ট্যাগের মাধ্যেমেই যাতে আদায় করা যায়। আপাতত, ন্যাশনাল হাইওয়েগুলিতে যত টোল ট্যাক্স আদায় হয়,তার ৮০ শতাংশই ফাস্ট্যাগ থেকে আসে।
গাড়ির ডিজিটাল তথ্য সম্বলিত ট্যাগ বা পাতলা কার্ড হল ফাস্ট্যাগ। এই ফাস্ট্যাগ গাড়ির সামনের উইন্ড স্কিনে লাগানো থাকে। টোল প্লাজায় গেট-এ লাগানো সেন্সর ফাস্ট্যাগ রিড করবে। এরপর ট্যাগের সঙ্গে যুক্ত থাকা অ্যাকাউন্ট বা ওয়ালেট থেকে কেটে নেওয়া হবে টাকা।
ফাস্ট্যাগ রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন বা আরএফআইডি পদ্ধতিতে কাজ করে। এই পদ্ধতিতে টোল প্লাজায় থাকা ক্যামেরা স্টিকারের বার-কোড স্ক্যান করে নেয় এবং টোলের টাকা ফাস্ট্যাগ ওয়ালেট থেকে কেটে নেওয়া হয়।
ফাস্ট্যাগ ব্যবহার করলে যান চালকদের টোল ট্যাক্স চোকানোর জন্য গাড়ি থামাতে হবে না। ফলে টোল প্লাজায় যে সময় লাগে তা কমে যাবে এবং যাত্রা আরও সুগম হবে। এ জন্যই ফাস্ট্যাগে ব্যবহার করা হয়। ফাস্ট্যাগ পুরোপুরি চালু হওয়ার পর টোল প্লাজায় নগদে টোল দেওয়া থেকে অব্যাহতি মিলবে।
সেইসঙ্গে জ্বালানি ও সময়েরও সাশ্রয় হবে। সোমবার মধ্যরাত থেকেই ফাস্ট্যাগ বাধ্যতামূলক হয়েছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক যে ছাড় দিয়েছিল, তার সময়সীমা শেষ হয়েছে। এর আগে কেন্দ্র ১ জানুয়ারি থেকে এই ব্যবস্থা চালুর ঘোষণা করেছিল।
কিন্তু বিভিন্ন পরিবহণ সংস্থাগুলির আপত্তিতে সেই সময়সীমী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ায় আজ থেকে ফাস্ট্যাগ বাধ্যতামূলক হয়েছে।