বিপর্যয়ের দিন থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু করা হলেও বিগত কয়েকদিন ধরেই আশার আলো দেখছিল না উদ্ধারকারী দলগুলি। গতকাল থেকে একাধিক মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় বর্তমানে মোট মৃতের সংখ্যা ৫৩-এ পৌঁছেছে। এখনও নিখোঁজ ১৫০ জনেরও বেশি।
তপোবনের বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিভিন্ন সুড়ঙ্গে প্রায় ২৫ থেকে ৩৫ জন শ্রমিকের আটকে থাকার আশঙ্কায় জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। এনডিআরএফ, এসডিআরএফের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও আইটিবিপির জওয়ানরাও উদ্ধারকাজে সাহায্য করছেন।
প্রথম সুড়ঙ্গ থেকে ১২ জন শ্রমিককে প্রায় অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও দ্বিতীয় সুড়ঙ্গের গভীরতা বেশি হওয়ায় উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হয়। সুড়ঙ্গের কিছুটা পরিষ্কার করার পরই জমে থাকা জল বেরিয়ে আসায় সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় উদ্ধারকাজ। পরে সুড়ঙ্গে ড্রিল করে উদ্ধারকাজ শুরু হয়।
গতকাল সকালেই সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে দুটি ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর একাধিক মৃতদেহ উদ্ধার হয় সুড়ঙ্গ ও নদীর পাড় থেকে।
আজ এই বিষয়ে এনডিআরএফের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট আদিত্য প্রতাপ সিং বলেন, “তপোবনের সুড়ঙ্গ থেকে এখনও অবধি মোট আটটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রেনি গ্রাম থেকে আরও সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে ২৪ ঘণ্টাই উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে।”
সুড়ঙ্গের ভিতর থেকে মৃতদেহগুলি বের করে আনা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে উঠেছে বলেই জানান উদ্ধারকারী দলগুলির একজন।
অন্যদিকে, জোশীমঠের উপরিভাগেই একটি হ্রদ তৈরি হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা। বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য অস্থায়ী লোহার সেতু তৈরি করা হয়েছে।