অনলাইন ডেস্ক, ১৩ ফেব্রুয়ারী।। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে বল প্রয়োগ করছে মিয়ানমারের পুলিশ। সেই প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু টমাস। দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার সুপারিশও জানিয়েছেন তিনি।
অ্যান্ড্রু শুক্রবার জানান, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের উচিত অবিলম্বে মিয়ানমারের ওপর আর্থিক, সামরিক ও ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা।
তিনি বলেন, ‘‘বিভিন্ন রিপোর্ট ও ছবি থেকে আমরা এই প্রমাণ পেয়েছি যে গত কয়েক দিনে বিক্ষোভ ঠেকাতে সেনার নির্দেশে আগ্নেয়াস্ত্রের প্রয়োগ করেছে পুলিশ। যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। এই পরিস্থিতিতে আমার প্রস্তাব, অবিলম্বে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হোক। ’’
প্রায় একই বার্তা দিয়েছেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব। সেনা অভ্যুত্থানের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তাদের সরকার মিয়ানমারে সুষ্ঠু গণতন্ত্র ফেরানোর দাবি জানিয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
এর আগে এক ধাপ এগিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন। সেনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ ইতিমধ্যেই ১ বিলিয়ন ডলারের সামরিক অনুদানে কাটছাঁট করেছে দেশটি।
জাতিসংঘে মিয়ানমারের দূত মিন্ট হু জানান, আসিয়ানে অন্তর্ভুক্ত দেশ ও জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে চলেছেন। তার কথায়, ‘‘দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে আমরা কেউই বাধা হতে চাই না।”
এ দিকে মিয়ানমারের জান্তা সরকার ২৩ হাজারেরও বেশি বন্দীর সাজা মওকুফ করেছে। দেশটির সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছেন।
ফেব্রুয়ারির শুরুতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার করা হয় ক্ষমতাসীন দল এনএলডি’র নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে।
তবে বলপ্রয়োগ সত্ত্বেও গণতন্ত্রকামীদের বিক্ষোভ ও অসহযোগ আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে মিয়ানমারে।