অনলাইন ডেস্ক, ১৩ ফেব্রুয়ারী।। আজ বিশ্ব বেতার দিবস। এবারের ওয়ার্ল্ড রেডিও ডে-তে থিম ‘নিউ ওয়ার্ল্ড, নিউ রেডিও’, অর্থাৎ নতুন বিশ্বের মাঝে নতুন বেতার। এবারের থিমের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে কোভিড পরবর্তী সময়েও রেডিও-র গুরুত্ব। ওয়েব সিরিজ, পডকাস্ট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে যাওয়া বিশ্বে এখনও অনেক বিশ্ববাসী রোজ রেডিও শুনে থাকেন অভ্যাস করে।
এবারের থিমকে আবার ভাঙা হয়েছে তিনটি ভাগে। প্রথমত, ‘বিবর্তন’। প্রচণ্ড গতিতে বদলাচ্ছে বিশ্ব, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদলাচ্ছে রেডিও-ও। দ্বিতীয় ভাগ ‘স্থায়িত্ব’। পরিবর্তনের মাঝে বিবর্তনকে সঙ্গী করেও রেডিও-র পথচলা ধ্রুবক।
অপর অর্থে স্থায়ী। তৃতীয়ত ‘উদ্ভাবন’। বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে নতুন রকমের বিভিন্ন উদ্ভাবন, পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে এগোচ্ছে রেডিও মাধ্যমও, সেই বার্তাই দেওয়া হয়েছে থিমে।
সঙ্গে রয়েছে সংযোগ, রেডিও-র মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক ভেদ বাদে সবার সঙ্গে সমান ছন্দে সংযোগের বার্তা রয়েছে। ১৯৪৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি স্থাপিত হয়েছিল ইউনাইটেড নেশনস রেডিও। ২০১৩ সালে আজকের দিনেই তাই রাষ্ট্রপুঞ্জের অ্যাসেম্বলি দিনটিকে বেছে নেয় রেডিও ডে বা বেতার দিবস হিসেবে।
লাতিন শব্দ রেডিয়াস থেকে উৎপত্তি রেডিও শব্দের। যার অর্থ আলোর কিরণ। ১৮৮১ সালে ফরাসি বৈজ্ঞানিক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল বার্তা প্রেরণের জন্য উদ্ভাবন করেছিলেন রেডিওফোনের। যা পরে বিবর্তনের ধাপ নিয়ে বর্তমান আধুনিক রেডিও-র পথ তৈরি করে।
উদ্ভাবনের পর সমুদ্রে পাড়ি দেওয়া নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য ব্যবহার হত রেডিওফোন। পরে বিবর্তনের রাস্তা ধরে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে রেডিও। হয়ে উঠেছে জীবনযাপনের অঙ্গাঙ্গী অঙ্গ।