দেশজুড়ে দেওয়া হচ্ছে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ

অনলাইন ডেস্ক, ১৩ ফেব্রুয়ারী।। ​গত মাসে ভারতে শুরু হয়েছিল করোনা ভ্যাকসিন। বলা হয়েছিল ২৮ দিন পর ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। প্রথম দিন যাঁদের টিকাকরণ হয়েছিল আজ তাঁদেরই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।

সে তালিকায় প্রথমেই থাকবেন দিল্লি এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া এবং নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পল। দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। কারণ টিকার এই ডোজকে বলা হচ্ছে ‘বুস্টার শট’।

এই শট নেওয়ার ১৪ দিন পর থেকেই শরীরে তৈরি হবে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি। যতদিন সেই অ্যান্টিবডি শরীরে টিকে থাকবে ততদিনই ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পাওয়া যাবে। বেশি মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হলে ধীরে ধীরে হার্ড ইমিউনিটির পথে এগিয়ে যাবে দেশ।

এরই মধ্যে বেশ কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কোন ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে আজ? তাছাড়া ২৮ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ না দিলে কী হতে পারে? দ্বিতীয় ডোজ নিতে দেরি হলে কি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতায় প্রভাব পড়বে? প্রথম দিন যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন তাঁদের মোবাইলে সরকারের তরফে এসএমএস পৌঁছেছে ইতিমধ্যে। কিছু মানুষকে সরাসরি ফোন করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রক টিকাকরণ কর্মসূচি শুরুর আগে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল সেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মধ্যে ২৮ দিনের ব্যবধান থাকবে। কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড এই দুটি ভ্যাকসিনের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে প্রথম ডোজ যে ভ্যাকসিনের দেওয়া হয়েছিল, সেটির দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।

অর্থাৎ প্রথম দফায় কাউকে কোভিশিল্ড দেওয়া হলে দ্বিতীয় দফায় একই ভ্যাকসিনের প্রয়োগ হবে। জানানো হয়েছিল, দ্বিতীয় ডোজের ১৪ দিন পর ভ্যাকসিনের প্রভাব  দেখা যাবে। কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড প্রস্তুতকারক দুটি সংস্থার তরফেও জানানো হয়েছিল, দুটি ডোজের মধ্যে ২৮ দিনের ব্যবধান থাকবে।

কেন্দ্র সরকারের তরফে রাজ্যগুলিকে জানানো হয়েছিল, ২৫ ফেব্রুয়ারির আগে প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মীকে ভ্যাকসিনে প্রথম ডোজ দিতে হবে। সারা দেশে ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাসদের পয়লা মার্চের আগে প্রথম ডোজ দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে।

এক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আলাদা স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে। ব্রিটেনে যেমন দুটি ডোজের মধ্যে ১২ সপ্তাহের ব্যবধান রাখা হচ্ছে। আমেরিকায় দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান ছয় সপ্তাহ।

জুলাই মাসের মধ্যে ৩০ কোটিকে টিকা দেওয়ার বৃহত্তর পরিকল্পনা রয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর হর্ষবর্ধন বলেছেন, ২৬ দিনে ৭০ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই সংখ্যায় পৌঁছতে আমেরিকার লেগেছে ২৬ দিন ও ব্রিটেনের ৪৮ দিন।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?