শনিবার প্রাক্তন তৃণমূল নেতার একটি বক্তব্যের জেরে সেই জল্পনা আরও বাড়ল। এদিন তিনি বলেন, “বিজেপি নেতৃত্বের তরফে আমাকে স্বাগত জানানো হয়েছে। এ জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
প্রশ্নাতীতভাবে এ বিষয়টি আমার কাছে আনন্দের। তবে এখনই যে তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাচ্ছেন না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন।বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে দীনেশ ত্রিবেদী জানান, তিনি একটু থিতু হতে চাইছেন। তারপরেই কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করে এই প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, তিনি মাথা উঁচু রেখে চলেন। কিন্তু, তাঁর জানা উচিত, সকলেই মাথা উঁচু করেই বাঁচতে চান। যদি আতঙ্ক ও ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে মাথা উঁচু করে বাঁচা সম্ভব নয়।
এদিকে দীনেশ ত্রিবেদীর বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, দীনেশবাবু একজন স্বচ্ছ রাজনীতিবিদ। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে দলে ছিলেন। তৃণমূলের জোড়াফুলের চিহ্ন তৈরিতে তাঁর বিশেষ অবদান। যদি তিনি বিজেপিতে আসতে চান তবে সাদর আমন্ত্রণ।
উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে শুক্রবার রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন দীনেশ ত্রিবেদী। বলেন, “আমি আজ রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। আমার রাজ্যে অশান্তি হচ্ছে। আমরা সেখানে কিছু বলতে পারি না।
কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। দলের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। দলীয় নেতৃত্ব আমাকে এখানে পাঠিয়েছে। দমবন্ধ হয়ে আসছিল। রাজ্যে হিংসা নিয়ে কিছু করতে পারছিলাম না। আমার অন্তরাত্মা বলল, এখানে বসে যখন কিছুই করতে পারছি না তখন ইস্তফাই দেওয়া উচিত।
বাংলার জন্য কাজ চালিয়ে যাব। এরপরেই তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ অনুসরণই করতে চলেছেন দীনেশ ত্রিবেদীও।
এদিকে এই নেতার উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “ভালো মানুষ, খারাপ দলে গিয়ে ফেঁসে গিয়েছিলেন। বিজেপিতে আসতে চাইলে স্বাগত।