খোয়াইয়ে ২৭০ কৌটা হেরোইন বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার, খোয়াই, ১৩ ফেব্রুয়ারী।। খোয়াই জেলায় বর্তমানে নেশা কারবারের রমরমা। চুড়াইবাড়ী, আমবাসা, কমলপুর হয়ে খোয়াই এসে পৌছাচ্ছে নেশা সামগ্রী। তা আবার খোয়াই থেকে সিমনা হয়ে বাংলাদেশ পাচার হচ্ছে।

অথচ খোয়াই থানা বাবুরা সবই জানেন বলে অভিযোগ। উনারা মালিকদের সাথে বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গোপন লেনদেনে রফাদফা করেন বলেও অভিযোগ। বড় মাছদের রক্ষা কবচ হয়ে পুলিশের কাজ হচ্ছে ছোট ছোট নেশা সামগ্রী বিক্রেতাদের লোকদেখানো ধরপাকর করা।

বিশেষ করে যাদের মালিক পক্ষের সাথে লেনদেন ভালো নয় তাদেরই নামধাম দিয়ে নেশা কারবারের বড় চাঁইরা পুলিশকে জানিয়ে দেন। এই সমস্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতেই থানা বাবুরা এক্কেবারে রণসাজে মিডিয়াকে খবর দিয়ে চলে যান অভিযানে। আর প্রচার চালানো হয় পুলিশ নেমেছে নেশা বিরোধী অভিযানে।

অথচ জনগণ সবই জানেন। এমনই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ খোয়াই থানাধীন বারবিল গ্রামে। স্থানীয় ঋষিপাড়া কলোনীতে হানা দেয় খোয়াই থানার পুলিশ, টিএসআর সহ মহিলা পুলিশ বাহিনী। খোয়াই থানার ওসি এবং সাব ইনস্পেকটরের উপস্থিতিতে স্থানীয় কৃষ্ণ মালাকার নামে এক ব্যাক্তির বাড়ীতে তল্লাশী চালানো হয়।

দীর্ঘদিন যাবত নেশা কারবারের সাথে জড়িত কৃষ্ণ মালাকারের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ২৭০ কৌটা হিরোইন এবং কাঁচামাল সহ নগদ টাকা। খোয়াই থানা বাবুরাও কৃষ্ণ মালাকারের নেশা কারবারের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি জানেন। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত নেশা কারবারের মালিকদের সাথে লেনদেন নিয়ে ঝামেলা চলছিলো কৃষ্ণ মালাকারের।

তারই জেড়ে এদিন সকালে খোয়াই থানা বাবুদের এই হানা। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় জনগণের। গোটা খোয়াই জেলার জনসাধারণ এমন নাটক দেখতে দেখতে অভ্যস্ত। হাসির খোরাক হচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। থানা বাবুদের আঙুল ফুলে কলাগাছ।

আর ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। কিন্তু যুব সমাজকে এই নেশার কবল থেকে মুক্ত করতে নেশা কারবারের মুল পান্ডাদের, মালিকদের কেন জালে তুলতে ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ? প্রশ্ন উঠছে জনমনে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

চ্যাট খুলুন
1
আমাদের হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠান
হেলো, 👋
natun.in আপনাকে কিভাবে সহায়তা করতে পারে?