এই গগৈ-ই অযোধ্যার জমিতে রামমন্দির নির্মাণের রায় দিয়েছেন, রায় দিয়েছেন অসম এনআরসি-র মতো আর একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল মামলার। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের কনক্লেভের সঞ্চালক তুলে আনেন লোকসভায় তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল সংসদ মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যের প্রসঙ্গ। প্রশ্ন করেন, তিনি কি মহুয়ার বিরুদ্ধে মামলা করবেন? জবাবে পাল্টা এক গুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দেন নিজেই। বলেন, ‘‘মামলা করে আর কী হবে।
আদৌ কি বিচার পাওয়া যায় আদালতে? কে আদালতে যায় বলুন তো? আদালতে গিয়ে ঘষতে ঘষতে জুতো ক্ষয় করা ছাড়া আর কিছু হয় না। ব্যবসায়ীরা, যাঁদের জিতলে বিপুল অঙ্কের প্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে, অথবা সম্পত্তি লাভের যোগ আছে, তাঁরাই আদালতে যান।’’ কয়েক দিন আগে লোকসভায় মহুয়া মৈত্র রঞ্জন গগৈ-এর নাম না করেও তাঁর বিষয়ে কথা বলেন। তাঁর বক্তব্য় ছিল, দেশের বিচার ব্যবস্থার পবিত্রতা সেই দিনই নষ্ট হয়ে গিয়েছে, যখন এক জন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল এবং তিনি নিজেই নিজের বিচার করেছিলেন।
অবসরের পরে তাঁকেই আবার রাজ্যসভার সাংসদও মনোনীত করেছে সরকার পক্ষ। আর বৃহস্পতিবার কনক্লেভে গগৈ-এর ওই বক্তব্য ট্যাগ করে টুইটে মহুয়ার খোঁচা, ‘‘ভারতীয় বিচারব্যবস্থা নিয়ে কান্নাকাটি করছেন একজন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি, যিনি আবার রাজ্যসভার সাংসদও মনোনীত হয়েছেন। এটা হাস্যকর।’’