এর ফলে তিনি কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে সীমানা দেয়াল নির্মাণের জন্য সামরিক বাজেটের অর্থ বরাদ্দ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ট্রাম্প ক্ষমতা ছাড়ার আগ পর্যন্ত এ প্রজেক্টে ২৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়ে গিয়েছে। সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডাগুলো থেকে সরে আসতে বাইডেনের ধারাবাহিক নির্বাহী আদেশগুলোর মধ্যে সর্বশেষ পদক্ষেপ এটি।
অভিবাসী পরিবারের সদস্যদের পুনরায় একত্রিত করতে গত সপ্তাহে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের অভিবাসী নীতির কারণে এসব পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। সেইসঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্টের অভিবাসী নীতি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন বাইডেন।কংগ্রেসকে লেখা চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, সীমানা দেয়াল নির্মাণের জন্য সব ধরনের সম্পদ বরাদ্দ ও স্থানান্তরের পর্যালোচনা করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি ছিল সীমানা দেয়াল নির্মাণ করা। কিন্তু ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ ট্রাম্পের এ নীতি বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যার ফলে জরুরি অবস্থা জারি করে নিজ ক্ষমতা বলে সীমানা দেয়াল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০১৭ সালের আগ পর্যন্ত সীমান্তে মোট ৬৫৪ মাইল এলাকা কাঁটাতার দেয়া ছিল। ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে সেটি আরও ৮০ মাইল বাড়ান এবং ৪০০ মাইল সীমানায় নতুন দেয়াল প্রতিস্থাপন করেন।