অনলাইন ডেস্ক, ১৩ ফেব্রুয়ারী।। সলমন খানের ঘোড়া বিক্রি আছে। আর তা জেনেই রাজি হয়ে গিয়েছিলেন রাজস্থানের বাসিন্দা সন্তোষ ভাটি নামে এক মহিলা। তবে ঘোড়া মেলেনি। উল্টে ১২ লক্ষ টাকা প্রতারকদের কাছে খুইয়েছেন ওই যোধপুর নিবাসী ওই মহিলা।
ঠিক কী ঘটেছে? প্রতারিত ওই মহিলা জানিয়েছেন, তিনি ঠিক করেছিলেন ঘোড়া কিনবেন। অভিযোগ, সেই সূত্রেই তাঁর দেখা হয়েছিল নির্ভয় সিং, রাজপ্রীত এবং আরেকজন ব্যক্তির সঙ্গে। তৃতীয় ব্যক্তির নাম জানেন না সন্তোষ।
তিনজনে মিলে তাঁকে একটি ছবি দেখান। ছবিতে ঘোড়ার উপরে বসেছিলেন সলমন খান। তিন প্রতারক মহিলাকে জানান, সলমন নিজের প্রিয় ঘোড়াটি বিক্রি করবেন। আর মহিলা যদি তা কিনে নেন তাহলে লাভবান হবেন। কারণ সলমন খানের ঘোড়া তিনি দ্বিগুন দামে আবার বিক্রি করতে পারবেন। এই টোপেই খুশি হয়ে প্রতারকদের নগদ ১১ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন সন্তোষ ভাটি।
পরে আরও ১ লক্ষ টাকা দেন চেক মারফত। প্রতারিত যে হয়েছেন, তা সন্তোষ বুঝতে পারেন ঘোড়াটি নেওয়ার দিন। তাঁকে নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে বলা হয়েছিল। সেখানে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও কারও দেখা মেলেনি। তখনই নিজের ভুল বুঝতে পারেন মহিলা।
প্রতারিত হওয়ার পর গত অগস্টে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই মহিলা। তবে তাতেও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর। অগত্যা, বিচার চেয়ে রাজস্থান হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা।
তাঁর আবেদন মেনে বৃহস্পতিবার আদালতের তরফে রাজস্থান পুলিশ কমিশনারকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও আদালতে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনজীবী জানান, যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে মহিলার মামলাটি দেখা হচ্ছে। প্রতারকদের সন্ধান পাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে পুলিশ।