তিনি জানান, চা বাগানের স্টাফ এবং সাব স্টাফদের বেতন ভাতার বিষয়ে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মেয়াদ ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর শেষ হয়ে গিয়েছিল৷ সারা বিশ্বের সাথে আমাদের রাজ্যেও করোনা অতিমারির জন্য চুক্তির মেয়াদ শেষের পর ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করা সম্ভব হয়নি৷ আজ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বিভিন্ন চা বাগানের মালিক প্রতিনিধি, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন৷
বৈঠকে আলোচনার পর চা বাগানের স্টাফ এবং সাব স্টাফদের বেতন ভাতা ১৭ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়৷ সভায় সিদ্ধান্ত হয় ১ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে এখন পর্যন্ত ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি ধরে তাদের বেতন ভাতার বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে৷ ২০২২ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে তিন কিস্তিতে তাদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে৷ বৈঠকে চা উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মানিকলাল দাস, বোর্ড অফ ডিরেক্টর সমীর ঘোষও উপস্থিত ছিলেন৷
চেয়ারম্যান জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও চা বাগানের স্টাফ এবং সাব স্টাফদের বেতন ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এক উল্লেখযোগ্য সাফল্য৷ চা উন্নয়ন নিগম চা বাগানের শ্রমিক ও মালিকদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে পেরেছে বলেই আজ বৈঠকে এই চুক্তি করা সম্ভব হয়েছে৷ শ্রমিকরা যেন কোনভাবেই বিভ্রান্ত না হন সেদিকে নিগম সব সময়ই সচেতন রয়েছে৷ আজ ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদনের জন্য তিনি চা বাগানের শ্রমিক, মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান৷