বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন ধরন বা স্ট্রেইন দেখা গেলেও অক্সফোর্ডের এ টিকা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। ডব্লিউএইচও আরও জানায়, ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীরা করোনার দুটি ডোজ নিতে পারবে। তবে প্রথম ডোজ নেওয়ার আট থেকে ১২ সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া উচিত। অক্সফোর্ড জানাচ্ছে, এই ডোজিং পদ্ধতিটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলোতে কভিড-১৯ প্রতিরোধে নিরাপদ ও কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। ট্রায়ালে দেখা গেছে, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিনেরও বেশি সময় পর, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়া বা হাসপাতালে ভর্তির সংবাদ পাওয়া যায়নি।
অলাভজনক ভিত্তিতে এ টিকার যে সরবরাহ চলছে সেটি ডব্লিউএইচও’র নতুন নির্দেশিকার পর করোনা প্রতিরোধে আরেক ধাপ এগিয়ে গেছে বলে অক্সফোর্ড জানিয়েছে। ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানটি বলছে, তাদের তৈরি টিকাটি সহজেই ফ্রিজের তাপমাত্রায় (২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) সংরক্ষণ করা যায় এবং এর উৎপাদন-পরিবহনও সহজ। ফলে সহজেই বিদ্যমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় এটি সরবরাহ করা যেতে পারে। এভাবেই সারা বিশ্বে সেটি দ্রুত পৌঁছে দেওয়া যায়।
পেডিয়াট্রিক ইনফেকশন অ্যান্ড ইমিউনিটির অধ্যাপক ও অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন ট্রায়ালের প্রধান তদন্তকারী অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া নতুন দিকনির্দেশনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার বিশ্বের সবখানে প্রসার ঘটাবে।’ তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ দলের গাইডলাইন পাওয়ায় টিকাটি মহামারি মোকাবিলায় সাহায্য করার ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে আরও সমর্থন পাবে।’