তুইকই পাড়ায় এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা৷ উপস্থিত ছিলেন তেলিয়ামুড়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান যমুনা দাস রায়, খোয়াই জিলা পরিষদের সদস্য সত্যেন্দ্র দাস, খোয়াই জেলা বন আধিকারিক নীরজ কুমার চ’ল, তেলিয়ামুড়া মহকুমা বন আধিকারিক কৃষ্ণগোপাল রায়, সমাজসেবী বিশ্বজিৎ রূপিণী, সমাজসেবী জয়মাণিক রূপিণী প্রমুখ৷
এবছর মূল অনুষ্ঠানটি বড়মুড়া ইকো পার্কে হবে ও তার আগে বড়মুড়া সংলগ সর্দুকরকরী, ধনচাকমা, হাওয়াইবাড়ী, চিন্দ্রাই এবং হদ্রাই জে এফ এস সিতে এই অনুষ্ঠান হবে৷ মূলত এই পাঁচটি এলাকাতেই হর্ণবিল পাখী দেখা যায়৷ এখানকার বসতি হর্ণবিলের সাথে অনেকটাই পরিচিত৷ এখানকার মানুষের বিশ্বাস এই পাখী সৌভাগ্যের বার্তা বহন করে৷ বহু প্রাচীনকাল থেকে এ প্রাণীকে স্থানীয় এলাকাবাসী সংরক্ষণ করে আসছে৷
পাখির কাছ থেকে অনেক কিছু শিক্ষণীয় অভ্যাস রয়েছে৷ সারা জীবন এই পাখী এক জোড়ায় থাকে যার থেকে নিষ্ঠাপরায়ণতার উদাহরণ পাওয়া যায়৷ এই পাখীকে বনের বন্ধ আখ্যা দেওয়া হয়৷ তাই এই পাখীকে সংরক্ষণ করা সকলেরই কর্তব্য৷ খোয়াই জেলা বন আধিকারিক নিরজ কুমার চঞ্চল ও উনার আলোচনায় বন সংরক্ষণের পাশাপাশি হর্ণবিল সংরক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন৷
অনুষ্ঠানে জনজাতি শিল্পীরা তাদের সাংস্কৃতিক নাচ ও গান পরিবেশন করেন৷ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সর্দুকরকরী জে এফ এস সির সভাপতি রতন রূপিণী৷