অনলাইন ডেস্ক, ৯ ফেব্রুয়ারী।। মিয়ানমারে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে টানা চার দিন ধরে এ আন্দোলন চলছে।
বিবিসি জানায়, সোমবার বিক্ষোভের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সেনাশাসক। পরদিনই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাজধানী নেইপিদোর রাস্তায় নেমে আসে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী।
বিক্ষোভে বাধা দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ও রাবার বুলেট ছুড়ে। অন্তত দুই বিক্ষোভকারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে গত সপ্তাহে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তারা নির্বাচনে জয়লাভ করা ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ শীর্ষ নেতা ও মন্ত্রীদের বন্দী করে। আটক করা হয় পার্লামেন্টের প্রায় ৪০০ এমপিকেও।
এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা নিজের হাতে তোলেন নেন সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং।
এরপর দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। টানা চার দিন ধরে ছাত্র, চিকিৎসক, শ্রমিকেরা বিক্ষোভ ও ধর্মঘট চলছে। গত এক দশকেরও বেশি সময়ের পর সবচেয়ে বড় আন্দোলন দেখে মিয়ানমার।
বিক্ষোভের তৃতীয় দিন রাষ্ট্রীয় চ্যানেলের এক ঘোষণায় সকল ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়। বেশ কয়েকটি শহরে সন্ধ্যাকালীন কারফিউ জারি করে সেনাশাসক। আইন ভঙ্গ করাকে সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন সেনাপ্রধান।
মঙ্গলবার সকালে নেইপিদোতে বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। তবে জলকামান রুখে দিয়ে জনতা সামনে এগিয়ে যেতে থাকলে পুলিশ তাদের ওপর রাবার বুলেট ছোড়ে।
রয়টার্স জানাচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর রাবার বুলেট ছোড়ার আগে সতর্ক করতে মাথার ওপর ফাঁকা গুলি করা হয়।