অনলাইন ডেস্ক, ৯ ফেব্রুয়ারী।। সমগ্র দেশ ও দেশবাসীর দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। দেশের ভালোর জন্য অনেক সময়ই তাঁকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু যে কোনও কঠিন সিদ্ধান্তই তিনি সব সময় চোয়াল শক্ত করে নেন।
তাঁকে আবেগপ্রবণ হতে কজন দেখেছেন! কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হলেও তিনি একজন রাজনীতিবিদ। তবে সবশেষে সর্বোপরি মানুষও। ফলে সময়ে-অসময়ে তিনিও আবেগাপ্লুত হন।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় চারজন বিদায়ী সাংসদের জন্য আবেগতাড়িত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুলাম নবি আজাদ সহ চার বর্ষীয়াণ সাংসদের জন্য দু-চার কথা বলার সময় আলগোছে চোখের কোণের জল মুছলেন প্রধানমন্ত্রী।
দুজন পিডিপি, একজন কংগ্রেস ও বিজেপি-র সাংসদের রাজনৈতিক কর্মজীবন শেষবেলায় এসে দাঁড়াল। এমন মুহুর্তে চার সাংসদের জন্য বিদায়ী ভাষণে আবেগঘন হয়ে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বললেন, ”২৮ বছরের কর্মজীবন সহজ ব্যাপার নয়। দীর্ঘ কর্মজীবনে অনেক ঝড়-ঝাপটা সামলে নীতি-আদর্শে অটুট থাকতে হয়েছে তাঁদের।
নিজেদের পার্টির সঙ্গে দেশ ও দেশবাসীর কথা ভেবে হিতকর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাজটা সহজ হয় না। বিদায়ী সাংসদরা সেই কঠিন কাজটা করেছেন এতগুলো বছর ধরে। তাই তাঁদের বিদায়ের এই মুহূর্ত আমাদের কাছেও কঠিন। কিন্তু সময় তো এগিয়েই চলে।”
প্রধানমন্ত্রী এদিন ভাষণে আরও যোগ করেন, ”শ্রী গুলাম নবি আজাদজি, শ্রী শমশের সিং জি, মীর মহম্মদ ফৈয়াজ জি ও নাদির আহমেদ জি ভারতীয় রাজনীতির আঙিনায় মহিরুহের মতো ছিলেন।
আপনাদের জন্যই এই সদনের শোভা বেড়েছে। আফনাদের জ্ঞান, গরিমা, মহানুভবতা দেশ ও দেশবাসীর জন্য লাভজনক হয়েছে। যে কোনও সমস্যার সমাধান আপনারা খুঁজেছেন। তার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।
আমার একটাই চিন্তা, গুলাম নবি আজাদজির পর তাঁর এই পদের দায়িত্বে কে আসবেন! যিনিই আসুন না কেন, গুলাম নবিজির জুতোয় পা গলিয়ে দায়িত্ব পালন সহজ হবে না। গুলাম নবিজি যেমন নিজের দলের কথা ভেবেছেন, তেমনই দেশের জন্যও তাঁকে ভাবতে হয়েছে বরাবর।”