স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৮ ফেব্রুয়ারী।। করোনা অতিমারির কারনে দীর্ঘ প্রায় ১০ মাস স্কুলের পঠন পাঠন বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার পর ধাপে ধাপে স্কুলে পঠন পাঠন চালু করা হয়েছে। করোনা অতিমারির কারণে শিক্ষা ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়েছে।
তাই রাজ্যের শিক্ষার্থীদের শ্রেণি গত মান কোন স্তরে রয়েছে তা যাচাই করতে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর সোমবার থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের মধ্যে অন্তর্বর্তী মূল্যায়ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
কোন শিক্ষার্থী এই মূল্যায়নে বাদ গেলে ১৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি মপআপ রাউন্ডে ফের অন্তর্বর্তী মূল্যায়ন করা হবে। বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সোমবার থেকে রাজ্যের সকল সরকারী বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে তৃতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের মধ্যে অন্তর্বর্তী মূল্যায়নের কাজ।
রাজধানীর উমাকান্ত একাডেমীতে সংবাদ প্রতিনিধিদের ক্যামেরায় ফুটে উঠে শিক্ষক শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের মধ্যে অন্তর্বর্তী মূল্যায়ন করছেন। এক সাক্ষাৎকারে শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একটা সমীক্ষা করা হয়েছিল।
সেই সমীক্ষার ফলাফল আসার পর নতুন দিশা নামে একটা প্রকল্প চালু করা হয়। এই প্রকল্প চালু করার পর অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। কিন্তু ২০২০ সালের মার্চ থেকে করোনা পরিস্থিতির কারনে স্কুল বন্ধ ছিল।
এই সময় ছাত্র-ছাত্রিদের বিভিন্ন ভাবে শিক্ষা দানের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু করোনার কারনে রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রিদের কতটা ক্ষতি হয়েছে তা যাচাই করার জন্য সোমবার থেকে অন্তর্বর্তী মূল্যায়ন শুরু করা হয়েছে।