অনলাইন ডেস্ক, ৮ ফেব্রুয়ারী।। বিপর্যয়ের পর কাটতে চলল প্রায় ২৪ ঘণ্টা। উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে চলছে উদ্ধারকাজ। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ কমপক্ষে ১৭০ জন। তপোবন লাগোয়া এলাকার সুড়ঙ্গে আটকে যাঁরা পড়েছেন, তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে।
ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের (আইটিবিপি) ডিরেক্টর জেনারেল এসএস দেশওয়াল জানিয়েছেন, তপোবন এলাকার ‘ন্যাশনাল পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড’ (এনটিপিসি) সংলগ্ন এলাকা থেকে কমপক্ষে আটজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উত্তরাখণ্ড পুলিশের ডিজি অশোক কুমার জানিয়েছেন, এখনও ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তপোবন থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কর্ণপ্রয়াগের দিকে আরও সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকারীরা।
রবিবার তপোবনের ছোটো সুড়ঙ্গ থেকে ১২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জলস্রোতের কারণে যে বড় সুড়ঙ্গগুলির মুখ বুজে গিয়েছে, সেগুলি খোলার চেষ্টা চলছে। চামোলি পুলিশের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
হড়পা বানে কমপক্ষে ১৮০ টি ভেড়া এবং ছাগল ভেসে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুই মহিলা-সহ পাঁচ স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। দুই মহিলা ঘাস কাটছিলেন।
প্রাথমিকভাবে বিধ্বস্ত দেবভূমিতে রেইকি চালিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, তপোবন জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র (হৃষি গঙ্গা প্রকল্প) পুরোপুরি ধুয়েমুছে গিয়েছে। ঘটনাস্থলের কমপক্ষে চারটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই তালিকায় আছে তপোবনের এনটিপিসি বিষ্ণুগড় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
উদ্ধার চালাচ্ছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর (এসডিআরএফ), ইন্দো-টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশের (আইটিবিপি) এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)। ভারতীয় সেনার দল মোতায়েন করা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যদের দেরাদুন থেকে জোশীমঠ পর্যন্ত নিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার এবং বিমান।