অনলাইন ডেস্ক, ৮ ফেব্রুয়ারী।। ইরাকে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের হত্যাকাণ্ডের শিকার ১০৪জনকে দাফন করেছে ইয়াজিদি সম্প্রদায়।
বিবিসি জানায়, ২০১৪ সালে উত্তর ইরাকে বড় ধরনের হত্যাকাণ্ড চালায় আইএস। গণকবর থেকে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের ১০৪জনকে শনাক্ত করা হয়। নিনেভাহ প্রদেশের মাউন্ট সিনজারের কাছে কোচো গ্রামে তাদের দাফন করা হয়।
ইয়াজিদি অধ্যুষিত এলাকায় কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করে আইএস। ইয়াজিদি নারী ও শিশুদের বন্দী ও ধর্ষণ করে জঙ্গি গোষ্ঠীটি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়টির ওপর এ নিপীড়নের ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করে জাতিসংঘ।
ইয়াজিদি অর্গানাইজেশন ফর ডকুমেন্টেশনের প্রধান খাইরি আলি ইবরাহিমি জানান, এই ১০৪ জনই ২০১৪ সালে আগস্টে আইএস যোদ্ধাদের হাতে নিহত হন।
বৃহস্পতিবার কোচো গ্রামে নিয়ে যাওয়ার আগে বাগদাদে একটি সেনা স্মৃতিস্তম্ভে ১০৪ জনের উদ্দেশে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রত্যকে কফিনের সঙ্গে যুক্ত করা হয় নিহত ব্যক্তির ছবি। নিহতদের শেষ বিদায়ে অংশ নেন ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষ।
প্রাচীন ইরানীয় এই সম্প্রদায়টি ধর্মবিশ্বাসের কারণে আইএসের শিকার হয়। ইহুদি, খ্রিস্টধর্ম ও ইসলামের বিধিবিধান সম্মিলিত তাদের ধর্মবিশ্বাসকে ‘ধর্মবিরোধী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল সুন্নী মতাদর্শী জঙ্গি গোষ্ঠীটি।
২০১৪ সালে আইএসের হামলার শিকার হওয়ার আগে ইরাকে সাড়ে পাঁচ লাখের মতো ইয়াজিদির বসবাস ছিল বলে ধারণা করা হতো। পরে তিন লাখ ৬০ হাজারের মতো ইয়াজিদি প্রাণভয়ে পালিয়ে যায় এবং শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়।