অনলাইন ডেস্ক, ৭ ফেব্রুয়ারী।। উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরের অন্তত ৪৯টি কেসের রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশ অফিসারদের সাহায্য করেছিল এক দুঁদে ‘অফিসারের’। যার নাম টিংকি। তবে ২০২০-র অভিশপ্ত বছর তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
শনিবার সেই পুলিশ স্টেশনেই তাকে সম্মান জানাতে বসানো হল টিংকির মূর্তি। পুলিশকুকুর টিংকির মূর্তি উন্মোচন ঘিরে সকাল থেকেই থানায় ছিল সাজো সাজো রব। উপস্থিত ছিলেন উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারাও।
মূর্তি উন্মোচনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শহরের এসপি অর্পিত বিজয়বর্গীয়, গ্রামীণ এসপি অতুল কুমার এবং শহরের সার্কেল অফিসার কুলদীপ কুমার। তবে টিংকিকে যে অফিসার সামলাতেন সেই মহেশ কুমার এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি।
মুজফফরনগর থেকে বিজনোরে বদলি হয়ে গিয়েছেন বলেই তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। সিনিয়র ডগ হ্যান্ডেলার সুনীল কুমার টিংকির মূর্তি উন্মোচন করেন।
জার্মান শেফার্ড প্রজাতির টিংকি ছিল ওই পুলিশ স্টেশনের নয়নের মণি। পুলিশ ফোর্সে কর্মরত থাকাকালীন তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্যই এদিন এভাবে তাকে বিশেষ সম্মান জানানো হয়।
মুজফফরনগরের অ্যাডিশনাল এসপি মহেশ কুমারের কথায়, “কাউকে সম্মান জানানোর জন্য এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না।” গোয়ালিয়রে বিএসএফের ন্যাশনাল ডগ ট্রেনিং সেন্টার থেকে ট্রেনিং নিয়েছিল টিংকি। সেখান থেকেই মুজফফরনগরের ডগ স্কোয়াডে তাকে নিয়োগ করা হয়েছিল।
প্রথমে টিংকি মুজফফনগরের পুলিশ স্টেশনে একজন কনস্টেবল হিসেবে এবং স্নিফার ডগের ভূমিকায় দায়িত্ব পেয়েছিল। মাত্র ৬ বছরের মধ্যে তার অপরাধ সম্পর্কে অসামান্য দক্ষতার জন্য প্রোমোশান পেয়েছিল সে।
তার গন্ধ শুঁকে অপরাধীকে খোঁজার ক্ষমতার জোরে অন্তত ৪৯টি কেসের সমাধান করেছিল পুলিশ। মাত্র ৮ বছর বয়সেই গত নভেম্বরে মারা যায় সে।