অনলাইন ডেস্ক, ৬ ফেব্রুয়ারী।।ক্যারিয়ারে যখন সুবাতাস বইতে শুরু করেছে তখনই সাবেক স্বামী জনি ডেপের সূত্রে বিপত্তির মুখে পড়লেন অ্যাম্বার হার্ড। তার ভবিষ্যত নিয়ে শোনা যাচ্ছে পরস্পরবিরোধী ভাষ্য।
জনির ভক্তরা বারবার ওয়ার্নার ব্রসের কাছে এ বলে ধরণা দিচ্ছে, যাতে সুপারহিরো ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘অ্যাকুয়াম্যান টু’র প্রধান নারী চরিত্র মেরা থেকে হার্ডকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমন প্রচারে খুবই বিরক্ত তিনি।
শোনা যাচ্ছে, এ বিষয়ে ডেপের ভক্তদের মতামত আমলে নিয়েছে স্টুডিও। এ পরিস্থিতিতে লাইমলাইট হারানোর আশঙ্কায় আছেন নায়িকা।ইংল্যান্ডের এক ট্যাবলয়েড জনি ডেপকে ‘স্ত্রীকে মারধরকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে। এ নিয়ে আদালতে অভিযোগ করলেও মামলায় হারেন ‘পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান’ অভিনেতা। শুধু তাই নয়, ‘ফ্যান্টাস্টিক বিস্টস’সহ একাধিক লোভনীয় ছবি হাতছাড়া হয়।এ ঘটনায় ডেপ ভক্তদের সব ক্ষোভ আছড়ে পড়ে অ্যাম্বার হার্ডের ওপর। তারা অনলাইনে পিটিশন করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
এখন বলা হচ্ছে, পিটিশন আমলে নিয়ে ‘অ্যাকুয়াম্যান টু’তে হার্ডের পাশাপাশি অন্য নায়িকা যুক্ত করতে যাচ্ছে ওয়ার্নার ব্রস। বিষয়টিতে খুবই বিরক্ত তিনি।
যদিও ছবিতে মেরার ভূমিকাই প্রধান, কিন্তু অ্যাম্বার হার্ডের ধারণা— তিনি লাইমলাইট হারাতে পারেন। কোনোভাবেই আরেকজন নায়িকা মানতে পারছেন না, আবার এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতাও করতে পারছেন না। যদি এ বিষয়ে এখনো মন্তব্য করেনি প্রযোজকদের কেউ।মজার বিষয় হলো, বাজারে ঠিক বিপরীত একটি গুজব চালু রয়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে ওয়ার্নার ব্রস অ্যাম্বার হার্ডকে নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করছে। নায়িকাকে তারা আরও বড় সুযোগ দিতে যাচ্ছে।
যার সূচনা জ্যাক স্নাইডারের ‘জাস্টিস লিগ’ থেকে। এ ছবিতে হার্ডের ভুমিকা বাড়ছে। এটাও বলা হচ্ছে, ‘অ্যাকুয়াম্যান টু’তে নাম চরিত্রের অভিনেতা জেসন মোমোয়া মারা যাবে। আর অ্যাকুয়াম্যানের অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে মেরার হাতে।
এখন কথা হলো— এ বিপরীত দুই ভাষ্যের মধ্যে কোনটা সঠিক? এর উত্তর হলো, আপাতত অপেক্ষা করতে হবে!