অনলাইন ডেস্ক, ৬ ফেব্রুয়ারী।।কৃষক আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল থেকে বিভিন্ন বার্তা আসছিল। এবার আসরে নামল রাষ্ট্রসংঘ মানবাধিকার দফতর। মানবাধিকারের প্রতি ‘শ্রদ্ধা’-র জন্য ‘সর্বোচ্চ সহনশীলতা’ দেখিয়ে বিক্ষোভরত কৃষক এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘উপযুক্ত সমাধান’-এর বার্তা দেওয়া হল।
শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনারের কার্যালয় থেকে টুইট করে বলা হয়, ‘ভারত : এখন যে কৃষক বিক্ষোভ চলছে, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ (পড়ুন সরকার) এবং বিক্ষোভকারীদের সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আবেদন করছি।
অফলাইন এবং অনলাইন – উভয়ভাবেই শান্তিপূর্ণ জমায়েত এবং মতপ্রকাশের অধিকারকে রক্ষা করতে হবে। সবার মানবাধিকারের নীতিতে পর্যাপ্ত শ্রদ্ধা বজায় রেখে উপযুক্ত সমাধান বের করা গুরুত্বপূর্ণ।’ বিষয়টি নিয়ে অবশ্য নয়াদিল্লির তরফে আপাতত কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাইকমিশনারের সেই বার্তার আগেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সংগঠন, আইনপ্রণেতা এবং সরকারের বার্তার সঙ্গে যোগ দিয়ে রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেলের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ, জমায়েতের স্বাধীনতা এবং অহিংসা শ্রদ্ধা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কৃষকদের ক্ষোভ প্রশমনের জন্য গত বৃহস্পতিবার আবেদন জানিয়েছে আমেরিকাও।
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ এবং বাকস্বাধীনতার সমর্থনে মুখ খোলা হয়েছে। একইসঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের রেশ ধরে কেন্দ্রের সংস্কারগুলিকে সমর্থন করেছে জো বাইডেনের প্রশাসন। যা বেসরকারি বিনিয়োগ টেনে এনে ভারতীয় বাজারের উন্নতি করবে বলে জানানো হয়েছে।
পালটা বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের গণতান্ত্রিক নীতির ভিত্তিতে বিক্ষোভের বিষয়টি দেখা উচিত। এমনকী ২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে কৃষকদের বিক্ষোভ থেকে যে হিংসা ছড়িয়েছিল তার সঙ্গে গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটলে হাঙ্গামার ঘটনার তুলনা টানারও চেষ্টা করে সাউথ ব্লক।
যদিও রিহানা, গ্রেটা থানবার্গের মতো যে আন্তর্জাতিক তারকারা কৃষক আন্দোলন নিয়ে মুখ খুলেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্য কড়া সুর নিয়েছিল নয়াদিল্লি। বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছিল, তথ্য ঘেঁটে কৃষি বিক্ষোভের বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার পরই মন্তব্য করা উচিত।
একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার চমকপ্রদ ট্যাগ এবং কমেন্টের প্রলোভনে সেলিব্রিটি-সহ অন্যান্যরা যে ব্যবহার করছেন, তা সঠিক বা দায়িত্ববান নয়।