টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক রুট। তাঁর সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, দিনের শেষের স্কোরই তা বলে দিচ্ছে। দুই ওপেনার ররি বার্নস এবং ডম সিবলি শুরুটা ভালই করেছিলেন। ওপেনিং জুটিতেই তুলেছিলেন ৬৩ রান।
প্রথম আঘাতটা ইংরেজ শিবিরে করেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, বার্নসকে (৬০ বলে ৩৩ রান) ফিরিয়ে দিয়ে। পরের উইকেটটি নিয়েছিলেন যশপ্রীত বুমরা। ৬৩ রানেই ২ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তার পর আর কোনও অসুবিধাই যেন চোখে পড়ল না সারাদিনে। উল্টে ডম সিবলি এবং রুট ক্রমাগত সুইপ শটেই শেষ করে দিলেন ভারতীয় বোলারদের।
শুক্রবার শততম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন রুট। সেই ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখলেন শতরান দিয়েই। কেরিয়ারের ২০তম শতরান করে ফেললেন। দিনের শেষে অপরাজিত রইলেন ১২৮ রানে। সিডলির সঙ্গে ২০০ রানের জুটি গড়েন তিনি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সফল বুমরাই।
দুটো উইকেট নিলেন দেশের মাঠে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে। অসাধারণ দুটো বলে ফিরিয়ে দেন লরেন্স এবং সিডলিকে। অশ্বিন পান বার্নসের উইকেট। বাকি ভারতীয় বোলারদের মধ্যে কেউই উইকেট নিতে পারেননি। চোট পেয়ে অক্ষর পটেল ছিটকে যাওয়ায় দলে এসেছিলেন শাহবাজ নাদিম।
তাঁকেই প্রথম একাদশে সুযোগ দেয় ভারত। দলে কুলদীপ যাদবের মতো স্পিনার থাকতেও তাঁকে না নেওয়ায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন প্রাক্তনরা। দ্বিতীয় দিন ব্যাট করবেন অভিজ্ঞ রুট। হাতে রয়েছে ৭ উইকেট। কত রানে থামে তারা, সেটাই দেখার।
প্রথম দিনের শেষে ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে রুট বলে যান, “ত বেশি সম্ভব রান স্কোরবোর্ডে তুলে রাখতে চাই। পারলে ৬০০-৭০০। প্রথম ইনিংসে বেশি রান তুলে রাখলে আমরাই সুবিধা পাব। পিচে আস্তে আস্তে ভাঙছে।
কাল সারা দিন ব্যাট করে তৃতীয় দিন পর্যন্ত টানতে পারলে সুবিধাজনক জায়গায় থাকব। সেখান থেকে ম্যাচ কোনদিকে গড়াবে কেউ জানে না। তাই আজকের মতো ফর্মে খেলতে চাই আমরা।”