সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গোধন প্রকল্পের সুুযোগ জেলার মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে৷ তিনি বলেন, দুগ্দ উৎপাদন বাড়ানোর উপর সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে৷ এই লক্ষ্যে রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী উন্নত গোধন প্রকল্প রূপায়ণ করছে৷ এই যোজনায় কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে ’ বাছুরের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে৷
খোয়াই জেলায় এই যোজনা সফলভাবে বাস্তবায়ণের উপর গুরুত্বারুপ করেন৷ তাছাড়াও জেলায় এই প্রকল্পের কথা ব্যাপক প্রচারের আলোয় নিয়ে যেতে মুখ্যমন্ত্রী সভায় গুরুত্বারুপ করেন৷ পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি জমিতে সেচের সুুযোগ পৌঁছে দিতে সরকার বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে৷
রাজ্যে কৃষি পণ্যের উৎপাদশীলতা বৃদ্ধির জন্য সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে৷ পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী জেলার জলসেচ প্রকল্পগুলি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন৷ জল জীবন মিশন ও অটল জলধারা মিশনে জেলায় ২০২২ সালের মধ্যে বাড়ি বাড়ি বিনামূল্যে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ার কাজের বিষয়েও খোঁজখবর নেন৷
জেলায় বন্য হাতি নিয়ন্ত্রণে বনদপ্তরকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন৷ সভায় জেলায় গ্রামীণ পর্যটন শিল্পের বিকাশ, জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন, পঞ্চায়েতরাজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ ও চা বাগানগুলির উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেন৷
তাছাড়াও পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচির বিস্তারিত খোঁজখবর নেন এবং যে সমস্ত প্রকল্পের কাজ চলছে সেগুলি দ্রত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নির্দেশ দেন৷ পর্যালোচনা সভায় জেলাশাসক মিতা মল জানান, জেলায় এমজিএন রেগায় এখন পর্যন্ত ৪০ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮০ শ্রমদিবস সৃষ্টি হয়েছে৷ ব্যয় হয়েছে ৯৪ কোটি ৬৬ লক্ষ ৮ হাজার টাকা৷ স্থায়ী সম্পদ সৃষ্টি হয়েছে ৭,৬০৯ টি৷
জলাশয় সৃষ্টি করা হয়েছে ৭৪৩টি ও জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে ১৬,২৫১টি৷ প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনায় খোয়াই জেলায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত ৫৭টি জলসেচের উৎস সৃষ্টি করা হয়েছে৷ এতে জেলার ৯.১২ হেক্টর জমি জলসেচের আওতায় এসেছে৷ ২০২০-২১ অর্থবছরে আরও ৩০টি জলসেচের উৎস সৃস্টি করা হয়েছে৷ এতে ৪.৮ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে৷ চলতি অর্থবছরে ৩১ জন ক’ষককে ভর্তকীতে পাম্পসেট দেওয়া হয়েছে৷
সভায় জেলাশাসক জানান, জেলায় প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরের উদ্যোগে গত দু’মাসে ৭৮৫টি গাভীকে ক’ত্রিম প্রজজনের আওতায় আনা হয়েছে৷সভায় জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী, বিধায়ক নির্মল বিশ্বাস, মুখ্যসচিব মনোজ কুমার, রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক ভি এস যাদব, প্রধান সচিব জে কে সিনহা ও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারকগণ উপস্থিত ছিলেন৷