বিহার পুলিশের মহানির্দেশক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, সরকার বিরোধী মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করে পুলিশের খাতায় নাম উঠলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তার উপযুক্ত পরিণাম ভোগ করতে হবে। ওই সমস্ত ব্যক্তিদের একাধিক সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হবে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে এ ধরনের নয়টি বিষয়ের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
যার মধ্যে আছে পাসপোর্ট, সরকারি চাকরি, সরকারি দফতরে চুক্তিভিত্তিক কাজ, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স, বোর্ড অথবা কমিশনের কাজ, গ্যাস এজেন্সি ও পেট্রোল পাম্পের লাইসেন্স, ব্যাঙ্ক ঋণ, সরকারি আর্থিক অনুদান প্রভৃতি।
প্রায় একই ধরনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। বরং উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকার নীতীশ কুমার সরকারের থেকে একধাপ এগিয়ে গিয়েছে।
উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকার বিরোধী কোনও মন্তব্য করলে বিভিন্ন পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত হতে হবে। ইতিমধ্যেই এই পার্বত্য রাজ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর প্রশাসনিক নজরদারি শুরু হয়েছে।
রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক অশোক কুমার জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে বিভিন্ন অসামাজিক পোস্ট করা হচ্ছে কিনা বা তার উপর নজরদারি চলবে। দেশবিরোধী ও অসামাজিক কোনও পোস্ট করা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজ্য পুলিশের ডিজি আরও বলেন, কোনও একজন চাকরিপ্রার্থী কিংবা ঋণগ্রহীতার নামে কোন এফআইআর আছে কিনা সবার আগে সেটা দেখা হবে। তবে প্রথমবার কারও বিরুদ্ধে দেশবিরোধী বা আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগ উঠল তিনি পরবর্তী আরও একটি সুযোগ পাবেন।
কিন্তু দ্বিতীয়বারও যদি তিনি একই কাজ করেন তবে তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশের ঐক্যের পক্ষে ক্ষতিকর এমন যে কোনও পোস্টকেই দেশবিরোধী বলে গণ্য করা হবে।
বিহার পুলিশ আরও জানিয়েছে, কোনও বিধায়ক, সাংসদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করা হলেও রাজ্যবাসী একাধিক সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। যদিও ইতিমধ্যেই বিহার ও উত্তরাখন্ড সরকারের নির্দেশিকা নিয়ে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
বিহারের বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব বলেন, নীতীশ সরকার হিটলারি মনোভাব নিয়ে চলছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার চেষ্টা হচ্ছে। আসলে সরকার কাউকেই চাকরি বা আর্থিক অনুদান দিতে রাজি নয়।