তবে এখনও পর্যন্ত এটা প্রমাণ হয়নি যে, ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণে মন্নুর মৃত্যু হয়েছে। কি কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা জানতে দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তে। যদিও মুন্নুর মৃত্যুর কারণ জানতে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
মুন্নু পাহান আদতে ঝাড়খণ্ডের এক স্বাস্থ্যকর্মী। চলতি মাসের ১ তারিখে তাঁকে মেদান্ত হাসপাতলে কেভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল। টিকা নেওয়ার পর তিনি তাঁর বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন।
২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার কাজে যোগ দেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। রাজ্যের নোডাল অফিসার ডক্টর অজিত প্রসাদ বলেছেন, কি কারণে মন্নুর মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি।
এই মৃত্যুর সঙ্গে ভ্যাকসিনের কোনও সম্পর্ক আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসাদ আরও বলেন, ওই দিন মোট ১৫১ জন কর্মীকে মেদান্ত হাসপাতালে টিকা দেওয়া হয়।
মন্নুকে যে ভায়াল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয় তা থেকে আরও নয় জনকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সকলেই সুস্থ আছেন। তাই এটা নিশ্চিত নয় যে ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণে মন্নুর মৃত্যু হয়েছে।
তবে যদি দেখা যায় ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্যই তাঁর মৃত্যু হয়েছে তবে ঝাড়খন্ড এটাই হবে এ ধরনের প্রথম মৃত্যু। মৃত মন্মুর পরিবারকে ঝাড়খন্ড সরকারের তরফ থেকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সোমবারই গুজরাতের এক স্বাস্থ্যকর্মীর টিকা নেওয়ার ঘন্টা দু’য়েকের মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল।