স্থানীয় গণমাধ্যমের বর্ণনায়, নববধূর সাজে মোহময়ী হয়ে উঠেছিলেন ইমন। ঠোঁটে চেনা হাসি লেগেছিল তার। সেই হাসির ছোঁয়াই যেন লেগেছিল নীলঞ্জনের মনে।
গত অক্টোবরে নীলাঞ্জনের সঙ্গে আংটি বদলের কথা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন ইমন। করোনা পরিস্থিতির জন্য সেই অনুষ্ঠানও সেরেছিলেন ঘরোয়াভাবে।
ডিসেম্বরের শেষ থেকেই আইবুড়ো ভাত খাওয়ার পালা শুরু হয়। হবু স্বামী নীলাঞ্জনের পাশে বসে পাত পেড়ে আইবুড়ো ভাত খেয়েছিলেন ইমন।
জানুয়ারির শেষেই রেজিস্ট্রি ম্যারেজ সারেন ইমন ও নীলাঞ্জন। সেদিনও একবার মালাবদল হয়েছিল। তারপর থেকেই শুরু হয়ে যায় বিয়ের তোড়জোর। মঙ্গলবার সকালে মেহেন্দি অনুষ্ঠানের ছবি পোস্ট করেন সংগীতশিল্পী।
সেই সময় পরেছিলেন হলুদ শাড়ি। তারপর হয় গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। এরপর ধর্মীয় রীতিতে মালাবদল করেন তারা।
বিয়ের সাজে পুরোদস্তুর তাক লাগালেন ইমন। লাল বেনারসি আর সোনার গহনায় মোড়া গা। উলু ধ্বনি আর শঙ্খের সুর মঙ্গলবার মিশে গেল হাওড়ার জেঠিয়া বাড়িতে। গঙ্গার ধারে অবস্থিত বালি বাগিচা রাজবাড়িতে বসেছিল ইমন-নীলাঞ্জনের বিয়ের আসর।
বিয়ের আয়োজনে ছিলেন বিনোদনের একঝাঁক মুখ। সস্ত্রীক সৃজিত মুখোপাধ্যায় ও অরিন্দম শীল থেকে শুরু করে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, নন্দিতা রায়, দেবলীনা কুমার, জোজো, উজ্জয়িনী মুখোপাধ্যায়, উপল সেনগুপ্তর মতো তারকা উপস্থিত হয়েছিলেন নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে।
বিয়েতে সাজের মতো খাওয়াদাওয়ায় প্রথার ছাপ রেখেছেন ইমন ও নীলাঞ্জন। শুরুতেই ছিল ধোঁয়া ওঠা ফুলকো লুচি সহযোগে ছোলার ডাল। সঙ্গে গরম-গরম বেগুন ভাজা। এরপরেই বাসন্তী পোলাও। সঙ্গেই ছিল আলু পোস্ত, মিক্সড ভেজ ও ছানার ডালনা।
নিরামিষের পর্ব মিটতেই অতিথি আপ্যায়ন হয় দু’ধরনের মাছের পদ দিয়ে। ফিশ বাটার ফ্রাই ও সর্ষে পাবদায়। তার পরেই আসে মাটন কোর্মা। ছিল আমের চাটনি ও চার রকমের মিষ্টান্ন— ভরা সন্দেশ, লর্ড চমচম, গাজরের হালুয়া ও মিষ্টি দই।