এত দিন পর্যন্ত মোটর ভেহিকেল অ্যাক্টের অধীনে শুধুমাত্র জরিমানা করা হত। জেল হওয়ার তেমন সম্ভাবনা ছিল না। এক্ষেত্রে যাঁরা বারবার জরিমানা দিতে অস্বীকার করতেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হত। জরিমানা না দিলে এই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসারের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হত।
সেই মতো ওই অপরাধীর বিরুদ্ধে শো-কজ নোটিশ জারি করা হত এবং তাকে হিয়ারিংয়ের ডেট দেওয়া হত। এর পরও যদি কাজ না হয়, তাহলে লাইসেন্স সাসপেন্ড হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। তবে নতুন আইনে বদল আসতে পারে। শুধু জরিমানা নয়, জেল পর্যন্ত হতে পারে।
ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। ৪ জানুয়ারি থেকে পথে নেমে ১২১টি টু-হুইলার, ২৩টি ফোর-হুইলার ও ১১টি থ্রি-হুইলারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই কয়েক দিনে সব মিলিয়ে মোট ১৫৫জন বাইক আরোহীকে আইপিসি-অ্যাক্ট ২৭৯ ধারার অধীনে আটক করা হয়েছে। এফএইআর দায়ের করাও শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে মুম্বই ট্র্যাফিক পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার যশস্বী যাদব জানিয়েছেন, ভুল সাইডে গাড়ি চালালে বা রেসিং করলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা সব চেয়ে বেশি। এতে প্রাণহানি পর্যন্তও ঘটতে পারে। তবে এবার সচেতন হতে হবে।
এবার রাস্তায় কোনও রকম নিয়ম ভাঙলে, তা আর বরদাস্ত করা হবে না। যদি কেউ ট্র্যাফিক নিয়ম ভাঙেন বা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালান, তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে ট্রাফিক পুলিশ। কোনও ভাবেই তাদের ছাড়া হবে না। প্রয়োজনে গাড়ির নম্বর ট্র্যাক করে, অপরাধীদের বাড়ি গিয়ে আটক করা হবে।
এর পাশাপাশি বেশ কিছু তথ্যও তুলে ধরা হয়েছে মুম্বই পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই অনুযায়ী, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়ম ভাঙে বাইক-আরোহীরা। এর পরিমাণ প্রায় ৭৮ শতাংশ। এক্ষেত্রে স্থানীয় গ্রুপ বা রেসিং গ্যাংগুলির উপর নজর রাখা হয়েছে। চুরি যাওয়া বাইকের নথিকেও যাচাই করা হচ্ছে।
তাছাড়া ট্রাফিক পুলিশকর্মীরা সদা তৎপর। ভিডিও ফুটেজকে এভিডেন্স হিসেবে ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের বাড়িতেও চালান পাঠানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে আইপিসি-এর ২৭৯ ধারা অনুযায়ী, অপরাধীদের ১,০০০ টাকার জরিমানা বা ৬ মাস পর্যন্ত জেল হতে পারে।
ক্ষেত্র বিশেষে জেল-জরিমানা দুই হতে পারে। বর্তমানে এই সম্পর্কিত একাধিক বিষয়ে পর্যালোচনা করছে পুলিশ-প্রশাসন। সব ঠিক থাকলে আগামী এক-দুই মাসের মধ্যেই বলবৎ হতে পারে নতুন আইন।