গুড়িয়া নামে ওই প্রতিবন্ধী মহিলা সোমবার কানপুরের পুলিশ সুপারের কাছে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই মহিলা পুলিশ সুপারকে জানান, তাঁর স্বামী নেই। সামান্য কিছু জমি জমার আয়ে সংসার চলে। জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে এক আত্মীয় তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে। স্থানীয় থানায় মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে জানালেও পুলিশ তাঁকে কোন ভাবে সাহায্য করেনি। মহিলা আরও বলেন, মেয়ের খোঁজে থানায় গেলে পুলিশ তাঁকে কখনও ফিরিয়ে দিয়েছে। কখনও গালাগালি দিত আবার কখনও বলতো তোমার মেয়ে বদমাইশ। তাই কারও সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছে।
কিন্তু মহিলাও ছাড়ার পাত্র নন। মেয়ের খোঁজে নিয়মিতই থানায় যেতেন তিনি। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ওই মহিলাকে বলে, আমাদের গাড়িতে ডিজেল ভাড়ার টাকা দাও। তাহলেই তোমার মেয়েকে খুঁজে দেব। ওই মহিলা আরও বলেন, তিনি পুলিশকে কোনও ঘুষ দেননি। তবে গাড়িতে ডিজেল ভরার জন্য ১০ হাজারেরও বেশি টাকা দিয়েছেন। স্থানীয় পুলিশ চৌকিতে যে দু’জন পুলিশ কর্মী ছিলেন তাদের মধ্যে একজন তাঁকে সাহায্য করেছিল বলেও গুড়িয়া জানান।
পুলিশ সুপারকে গুড়িয়া জানিয়েছেন, পুলিশকে তেল ভরতে টাকা দেওয়ার জন্য তিনি অন্য আত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা ধার করেছেন। কিভাবে শোধ করবেন সেটা বুঝতে পারছেন না। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। কানপুর পুলিশ ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট পুলিশ চৌকির যিনি দায়িত্বে ছিলেন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গুড়িয়ার মেয়েকে খুঁজে বার করার জন্য ইতিমধ্যেই পুলিশের চারটি দল গঠন করা হয়েছে।