শুরু হতো চিৎকার-চেঁচামেচি। যে কারণে ছেলে প্রধানকে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরতে নিষেধ করেছিলেন মা। কিন্তু ছেলে মায়ের কথায় কর্ণপাত করেনি। দু’দিন আগে সে মদ্যপ অবস্বায় বাড়ি ফিরলে তার মা তীব্র আপত্তি জানায়। এসময় প্রধান আচমকাই একটি লাঠির বাড়ি তার মায়ের মাথায় আঘাত করে। মারের চোটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সুমি। এরপর মায়ের মৃত্যু ধামাচাপা দিতে সে দ্রুত বাড়ির উঠোনে মায়ের চিতা সাজিয়ে ফেলে।
শুধু তাই নয় মায়ের চিতার আগুনে সে মুরগির মাংস রান্না করতে শুরু করে। তবে এখানেই শেষ নয়। মায়ের শবদেহ পুরোপুরি পোড়াতে না পেরে পরেরদিন সকালে সে আবার শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করে। স্টোভের আগুনে মায়ের শরীরের বাকি অংশ পোড়তে শুরু করে। তবে তার বোন বিষয়টি ধরে ফেলে। খবর দেয় প্রতিবেশীদের। তারাই পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
মনোহরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেছেন নেশাগ্রস্ত অবস্থাতেই প্রধান তার মাকে খুন করেছে। গোটা ঘটনাটি কখন এবং কিভাবে ঘটল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বছর চারেক আগে একইভাবে নিজের বাবা গোপাল সোয়কেও খুন করেছিল প্রধান।