অনলাইন ডেস্ক, ২ ফেব্রুয়ারী।।দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলন ঘিরে কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। কৃষকদের অবরুদ্ধ করতে উদ্ধত দিল্লি পুলিশ। রাস্তায় পেরেক। উঁচু কংক্রিটের বাধা। রয়েছে বোল্ডার-ব্যারিকেডও। বন্ধ দিল্লিমুখী রাস্তা।
সিঙ্ঘু-টিকরী-গাজিপুর সীমানা যেন দুর্গ! আগেই বিদ্যুৎ, জল ও ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে সিঙ্ঘুতে। এবার কৃষকদের গতিবিধি রুখতে ব্যারিকেডের সংলগ্ন রাস্তায় পেরেক ছড়িয়ে দিল পুলিশ। কার্যত দুই দেশের সীমান্তের চেহারা নিয়েছে রাজধানী।
রাস্তায় রাস্তায় দাঁড় করানো বড় গাড়ি, বোল্ডার, ব্যারিকেড, কাঁটাতার। এই আয়োজন সিঙ্ঘু, টিকরি গাজিপুরে কৃষকদের অবস্থানের চারপাশের রাস্তায়। কিন্তু কেন এই আয়োজন?
সরকারের উদ্দেশ্য, কোনওভাবেই যাতে অবস্থানস্থল থেকে কৃষকরা মিছিল করতে না পারেন। শুধু তাই নয়, কৃষকদের গতিবিধি আটকাতে রাস্তায় পেরেকও ছড়িয়ে রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলন মঙ্গলবার ৬৯ দিনে পড়ল। গত ২৬ জানুয়ারি ট্র্যাক্টর মিছিলের পর আগামী শনিবার ৩ ঘণ্টার জন্য দেশের সব হাইওয়ে ও সড়ক অবরোধের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারী কৃষকদের সংগঠন।
গাজিপুরে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে কয়েকটি স্তরে। কার্যত দুর্গের চেহারা নিয়েছে গাজিপুর। এবার কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে, পেরেক ছড়িয়ে কৃষকদেরই অবস্থানস্থলে আটকে রাখার জন্য তত্পর হল প্রশাসন।
প্রজাতন্ত্র দিবসের র্যালিতে হাজার হাজার কৃষক পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, র্যালির রুট পরিবর্তন করে কৃষকরা। অনুমতি ছাড়াই লালকেল্লার ভেতর ঢুকে পড়ে তাঁরা।
লালকেল্লাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই ৮৪ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। কেন্দ্রের সঙ্গে ১১ দফায় কৃষকদের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, কেন্দ্রের সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে বৈঠকে তাঁরা রাজি।