কিন্তু আদালত কৃষকদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর কোনরকম হস্তক্ষেপ করেনি। রাজ্য থেকে কৃষকদের ট্র্যাক্টর প্যারেডে সারা ভারত কৃষক সভা রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি মতিলাল সরকার, সভাপতি পবিত্র কর এবং গণমুক্তি পরিষদের রাজ্য নেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী অংশ নেন। দিল্লি রোটাক এবং টিকড়ি সীমান্তে রাজ্য প্রতিনিধিরা কৃষকদের সাথে ট্র্যাক্টর প্যারেডে অংশ নেন। কৃষি আইন প্রত্যাহারের জন্য এদিন প্যারেড থেকে আওয়াজ তোলা হয়। কিন্তু কৃষকদের প্যারেড বানচাল করতে বিজেপি আশ্রিত সংযুক্ত কিষান শ্রমিক মোর্চার পাঁচ শতাধিক কর্মী বিছিন্ন ভাবে দিল্লি লাল কেল্লার দিকে ছুটে যায়।
এবং সেখান অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সেই বিজেপি আশ্রিত সংগঠনে নেতৃত্ব যে দিয়েছিল তিনি বিজেপি সহযোগি অর্থাৎ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সাথে সেই ব্যক্তির ছবি রয়েছে। যা এখন সনাক্ত হচ্ছে। সম্পূর্ণটাই ছিল মোদি সরকারের গেইম প্ল্যান। শুক্রবার সারা ভারত কিষান সভা রাজ্য কমিটি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই অভিযোগ তুলেন রাজ্য সভাপতি পবিত্র কর। তিনি নিন্দা জানিয়ে বলেন, গাজিপুর সীমান্তে কৃষকদের বেকায়দায় ফেলতে বিদ্যুৎ এবং জল পরিষেবা বিছিন্ন করে দিয়েছে সরকার।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্ট অভিযান করার কথা ছিল কৃষকদের। আপাতত তা স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু আগামী ৩০ জানুয়ারি দিল্লির ৬ টি সীমান্তে অনশন করবে কৃষকেরা। পাশাপাশি পার্লামেন্টে রাষ্ট্রপতি ভাষণ ও বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষকরা। আগামী দিনে সারা দেশের সাথে রাজ্যেও কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন আরও তেজি করে তোলা হবে বলে সরকারকে হুশিয়ারি দিলেন তিনি। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সারা ভারত কিষান সভার রাজ্য কমিটির সহ-সভাপতি মতিলাল সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।