অনলাইন ডেস্ক, ৩০ জানুয়ারি।। শীতে পা-দুটিকে সুন্দর রাখতে চাই একটু বাড়তি যত্ন। এ সময় বাইরে অনেক ধুলাবালি থাকে তাই বাইরে থেকে ফেরার পর কুসুম গরম জলে লেবুর রস ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে ১০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। এরপর হালকা ভেজা অবস্থায় ময়েশ্চারাইজার মাখুন।
স্নানের সময় তেল ও জল ব্যবহার করে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখা সম্ভব। স্নানের আগে পায়ে তেল মাখুন। ত্বক নরম থাকবে। তিলের তেল বা যে কোনো ভেজিটেবল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। শীতের সময় সরষের তেল ত্বকের পক্ষে ভালো। সারা বছর পায়ের যত্নে তিলের তেল বেশ উপকারী।
ম্যাসাজের আগে অল্প তেল গরম করে ব্যবহার করুন। স্নানের আগে টার্মারিক ক্রিম ম্যাসাজ করুন। ত্বক নরম হবে। ত্বকের কালো ভাব দূর হবে। স্নানের সময় সাবান ব্যবহার করলে বা স্নানের জলে ক্লোরিন থাকলে এই ক্রিম ত্বক নরম রাখতে সাহায্য করে। হলুদের মধ্যে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান আছে তাই ত্বকে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
ঘরোয়া উপায়ে বেসনের সাথে অল্প দুধ বা দই, হলুদ পেস্ট লাগিয়ে রাখুন। তারপর ভেজা হাতে আস্তে আস্তে মিশ্রণটি পায়ে ঘষুন। আলাদা করে সাবান ব্যবহার করার দরকার নেই।
বেসনের এই মিশ্রণ ভালো ক্লিনজারের কাজ করে। পায়ে রুক্ষভাব কমানোর জন্য অল্প গোলাপজলের মধ্যে এক চামচ গ্লিসারিন দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
স্নানের পর ভেজা পায়ে বডি লোশন বা ক্রিম লাগান, ত্বকের ময়েশ্চার বজায় থাকবে। ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ লোশনও মাখতে পারেন। আমন্ড তেল ও অলিভ তেল মিশিয়ে পায়ের পাতায় মাখুন। ভালো ক্রিম দিয়ে ম্যাসাজ করুন। গোঁড়ালিতে ক্রিম লাগান। তুলা বা পরিষ্কার কাপড় গোঁড়ালিতে ব্যান্ডেজ করুন।
শুতে যাওয়ার আগে সুতির মোজা পরুন। ক্রিমের বদলে তেলও ব্যবহার করতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পা ফাটার ওপর লাগান। পায়ের জন্য আরামদায়ক জুতা পরুন।
প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন ঘরে বসেই পেডিকিওর করুন। রাতে শোওয়ার আগে উষ্ণ গরম কলে শ্যাম্পু ও লবণ মিশিয়ে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। রোদে পোড়া পায়ের কালো দাগ দূর করতে পেডিকিওরের পর কচি শসার রস মাখুন।
পায়ের ছোপ ছোপ দাগ দূর করতে মুলার রস মালিস করতে পারেন। তার আগে পা গরম জলে কিছুক্ষণ ঘষতে পারেন।