স্টোনের সঙ্গে বিটুমিন মিশ্রন থাকছে। অতিরিক্ত হিসেবে থাকছে প্লাস্টিক। এতে সড়কের গুণমান ভালো হয়। সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এর আগে কেবলমাত্র মেঘালয়তে এই ধরনের প্লাস্টিক রোড নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী ত্রিপুরাতে এই প্লাস্টিক রোড করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই মোতাবেক বি কে রোডকে বাছাই করে প্লাস্টিক রোডে রূপান্তর করা হচ্ছে। ৭০০ মিটার রাস্তা প্লাস্টিক রূপান্তর করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৭০ লক্ষ টাকা। ৯ ইঞ্চি পুরু এই রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে। বোধজং চৌমুহনী থেকে মহিলা মহাবিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তাটি স্মার্ট সিটি প্রকল্পের অধীনে প্লাস্টিক রোডে রূপান্তর করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে।
এই নতুন অত্যাধুনিক পরিকল্পনা অনুযায়ী রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে জানান স্মার্ট সিটি প্রকল্পের অধিকর্তা শৈলেশ কুমার যাদব। সাধারণ পিচের রাস্তার তুলনায় এই প্লাস্টিক রোডের গুণগত মান ভালো। বহুদিন টেকসই। জল জমার ক্ষেত্রে এই রাস্তা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগরতলা পুর নিগমে 90 টন প্লাস্টিক প্রতিদিন বজ্র হিসেবে উৎপন্ন হয়। তার থেকে স্বল্প পরিমাণ প্লাস্টিকে এই রাস্তায় ব্যবহার করা হচ্ছে। সব ধরনের প্লাস্টিক এই রাস্তায় ব্যবহার করা যায় না। পুনর্নবীকরণযোগ্য প্লাস্টিকই রাস্তার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। সহসা এই রাস্তা আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হবে সাধারণের জন্য। আগামী দিনে শহরের অন্যান্য রাস্তাগুলি ক্ষেত্র এই পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানান স্মার্ট সিটির অধিকর্তা শৈলেশ কুমার যাদব।