তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গেও টানা বাম সরকারের পতন হয়েছিল ২০১১ সালে। বাংলায় ১০ বছর সরকার চলছে আর ত্রিপুরায় ৩২ মাস। এই সময়ের মধ্যে ত্রিপুরায় কর্মসংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য বাংলায় তা হয়নি। লোকসভায় তার প্রতিফলন ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গে ১৮টি আসন জিতেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন কমিউনিস্ট শাসনের অবসান চেয়েছিল মানুষ? কারণ, উন্নয়ন, স্বাধীনতা, শিল্প-বাণিজ্যের বিকাশ চাইছিল জনগণ। দুই রাজ্যেই মানুষ একই জিনিস চেয়েছিল। ত্রিপুরায় বাস্তবায়িত হয়েছে, বাংলায় হয়নি। বাংলায় পার ক্যাপিটা রোজগার ১ লাখ ১৫ হাজার ৭৪৮ টাকা। আর ত্রিপুরায় তা ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৩০ টাকা।
তিনি আরও বলেন, ২০১৯-এ লোকসভা ভোটে মানুষের মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে। মানুষ মোদীজিকে চাইছেন। আমরা সরকারি কর্মচারীদের সপ্তম পে স্কেল দিয়েছি, বাংলায় তা লাগু হয়নি। রাবার সেক্টরকে পুনরুজ্জীবীত করার জন্য ১১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। উত্তর-পূর্বে এই বিনিয়োগের বেশিরভাগটা ত্রিপুরায় হবে। ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে নতুন করে রাবার প্ল্যান্টেশন হবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগর চাষ নিয়ে পূর্বতন সরকারের কোনও পরিকল্পনাই ছিল না। আগামী দুবছরে দু’হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য দেবে এই আগর চাষ। কমিউনিস্টদের সময়ে আগর গাছ কাটা বেআইনি ছিল। অথচ এক স্বনামধন্য সাংসদ আগরের ব্যবসা করে আরবপতি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের সরকার এসে আগর চাষকে আইনি ঘোষণা করেছে। রাবারের পর এটাই সবচেয়ে বড় সেক্টর হয়ে উঠতে চলেছে। আজকে ত্রিপুরার মানসিকতা বদলেছে। এটাই ত্রিপুরার অগ্রগতির অন্যতম কারণ।